Wednesday, March 30, 2011

গরমে ছিমছাম সারাদিন

সকালবেলা ছিলেন পরিপাটি। চোখে-মুখে প্রসাধনের হালকা ছোঁয়া। ব্যস, বেরিয়ে পড়লেন কাজের উদ্দেশ্যে। বেলা গড়াতে থাকল। দিন শেষে দেখলেন, চেহারার সেই পরিপাটি ভাবটি আর নেই। লিপস্টিক আর কাজলও হয়তো লেপটে গেছে। মনই খারাপ হয়ে যায়। নিজের ওপর বিরক্ত লাগে। তখন একটু সাজসজ্জা না করলে সারাদিনের ক্লান্তিটা ঢাকা পড়ে না। কীভাবে তা করবেন, সে বিষয়ে কিছু পরামর্শ দেয়া হলো।
খুব গরম না থাকলেও আবহাওয়া এখন গরম। ফলে মেকআপ করতে হবে সে অনুযায়ী। সকালে যেভাবে সেজে বেরিয়েছিলেন, সেভাবেই মেকআপ ঠিকঠাক করে নিতে হবে।
সকালে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন লোশন লাগিয়ে নিন। এরপর পাউডার ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে পারেন। এটি না করতে চাইলে শুধু ফেস পাউডার লাগিয়ে বের হতে পারেন। চোখে হালকা রংয়ের আইশ্যাডো ব্যবহার করুন। সঙ্গে কাজল আর আইলাইনার নিতে ভুলবেন না। তবে খুব গরম, বৃষ্টি বা বিশেষ কোনো অনুষ্ঠান না থাকলে পানিরোধী কাজল, মাশকারা ও আইলাইনার ব্যবহার না করাই ভালো। সারা দিনের ঘাম আর গরমে হয়তো মুখ তৈলাক্ত হয়ে যায়। তখন চেহারায় সকালের সেই স্নিগ্ধ ভাবটি থাকে না। সে সময় ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়ার দরকার নেই। এতে করে নিজেকে আবার তৈরি করতে বেশ সময় লাগে। সে কারণে ফেসিয়াল ওয়াইপস বা ওয়েট টিস্যু দিয়ে শুধু মুখটা মুছে নিন। চোখের অংশে হাত দেবেন না। কোনো ময়েশ্চারাইজার লোশন লাগিয়ে নিন। এরপর ব্যবহার করুন ফাউন্ডেশন। এর পরিবর্তে আপনি টিনটেন্ড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন, যা ফাউন্ডেশনের মতো কাজ করবে। যদি রাতের দিকে কোনো অনুষ্ঠানে যেতে হয়, তাহলে স্পঞ্জ সামান্য ভিজিয়ে ফাউন্ডেশন নিয়ে মুখে ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে মেকআপ একটু জমকালো হবে। এরপরও মুখ যদি তৈলাক্ত হয়ে যায়, তাহলে ব্লটিং পেপার দিয়ে হালকা চাপ দিয়ে তেল বা ঘাম উঠিয়ে নিন। আপনি চাইলে স্টিক ফাউন্ডেশনও ব্যবহার করতে পারেন। তবে তরল ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা উচিত নয়। সংবেদনশীল ত্বকে বা যাদের ব্রণ ওঠার প্রবণতা আছে, তাদের জন্য মেডিকেটেড কনসিলার উপযুক্ত। মেকআপ বেশি হয়ে গেলে টিস্যু পেপার দিয়ে হাল্কাভাবে মুছে নিতে পারেন। এরপর ব্রাশ দিয়ে লুজ পাউডার দিতে হবে। পাউডার ব্লাশ-অনই বেশি ব্যবহার করে সবাই। ক্রিম ব্লাশ-অনও ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে গাঢ় গোলাপি (ডাসকি পিঙ্ক) রংটাকে প্রাধান্য দিলে চেহারায় একটা উজ্জ্বলতা দেখা দেবে। এটা লাগাতে হবে গালের হাড় বা চিকবোনের ওপর থেকে নিচের দিকে।
দিনেরবেলা ম্যাট ধরনের হালকা রংয়ের আইশ্যাডো ব্যবহার করা উচিত। তবে রাতে বা সন্ধ্যার পার্টির জন্য গাঢ় শ্যাডোই ভালো হবে। কাজল বা আইলাইনারের ওপর দিয়ে আরেকবার এঁকে দিন। কাজল লেপটে গেলে আলতো করে মুছে নিয়ে আবার লাগিয়ে নিন। কাজল, আইলাইনার একসঙ্গে মিশিয়ে স্মোকিং লুক দিতে পারেন চোখে। গ্লিটার দেয়া আইলাইনার ব্যবহার করলে আর কিছু না লাগানোই ভালো।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, সকালে ঠিকই রাঙিয়ে ছিলেন ঠোঁটকে। কিন্তু দিন শেষে তা মিলিয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে আপনি লিপলাইনার দিয়ে ঠোঁট এঁকে নিতে পারেন। এরপর একই রংয়ের লিপস্টিক ব্যবহার করুন। এতে করে লিপস্টিক ছড়িয়ে পড়বে না। ঠোঁট শুষ্ক হলে একটু লিপজেল বা বাম আগে লাগিয়ে নিন। দিনেরবেলা ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার করুন। হালকা গোলাপি, ধূসর বাদামি, মভ রংয়ের লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন। তবে রাতেরবেলা গ্লসি লিপস্টিক ব্যবহার করা উচিত। ঘামে চুল তৈলাক্ত হয়ে গেলে ট্যালকম পাউডার সামান্য পরিমাণে চুলের গোড়ায় দিয়ে উল্টো করে চুলটাকে আঁচড়ে ফেলুন। এতে চুলে ঝরঝরে ভাব আসবে। এরপর আপনার পছন্দ ও অনুষ্ঠানের উপযোগী করে চুলগুলো বেঁধে ফেলুন। হালকা কোনো সুগন্ধি ব্যবহার করুন। হয়ে গেল সাজ। তবে মনে রাখতে হবে, কর্মজীবী মেয়েদের ব্যাগে প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রসাধনসামগ্রী থাকা উচিত। তাহলে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হবে না। সারাদিন থাকতে পারবেন ছিমছাম।



কুটুমবাড়িতে গ্রামের খাবারকুটুমবাড়ি তার শহরের কুটুমদের জন্য এনেছে নতুন একটি খাবারের প্যাকেজ। নাম গ্রামের খাবার। শুধু নামেই গ্রামের খাবার নয়, এ প্যাকেজে রয়েছে গ্রামের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী খাবার। আর এসব খাবার খেতেও হবে মাটির পাত্রে। এ প্যাকেজে থাকছে সাদা ভাতের সঙ্গে প্যাকেজ-১ : শনিবার চিংড়ি ভর্তা, আলু ভর্তা, বরবটি ভর্তা, ঢেঁড়স ভাজি, ডাল ও সবুজ সালাদ। প্যাকেজ-২ : রোববার টাকি ভর্তা, টমেটো ভর্তা, পেঁপে ভর্তা, করলা ভাজি, ডাল ও সবুজ সালাদ। প্যাকেজ-৩ : সোমবার শুঁটকি ভর্তা, কাঁচকলা ভর্তা, ডাল ভর্তা, শিম-আলু ভাজি, ডাল ও সবুজ সালাদ। প্যাকেজ-৪ : মঙ্গলবার চিংড়ি ভর্তা, ঢেঁড়স ভর্তা, ধনেপাতা, মিষ্টি কুমরা ভাজি, ডাল ও সবুজ সালাদ। প্যাকেজ-৫ : বুধবার টাকি ভর্তা, থানকুনি পাতা ভর্তা, মরিচ-পেঁয়াজ ভর্তা, চিচিঙ্গা ভাজি, ডাল ও সবুজ সালাদ। প্যাকেজ-৬ : বৃহস্পতিবার শুঁটকি ভর্তা, ডিম ভর্তা, কালোজিরা ভর্তা, বাঁধাকপি ভাজি, ডাল ও সবুজ সালাদ। প্যাকেজ-৭ : শুক্রবার টাকি ভর্তা, শিম ভর্তা, আলু ভর্তা, মুড়িঘণ্ট, ডাল ও সবুজ সালাদ। খাওয়া যাবে প্রতিদিন বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। প্যাকেজ মূল্য মাত্র ১০৯ টাকা। উল্লেখ্য, কুটুমবাড়ি মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের একটি প্রতিষ্ঠান। কুটুমবাড়িতে বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজে খাবারের পাশাপাশি চাহিদা অনুযায়ী সব খাবার খাওয়ার সুযোগ রয়েছে। ঠিকানা : কুটুমবাড়ি, ২/১২ ব্লক-এফ (লালমাটিয়া মহিলা কলেজের পাশে), লালমাটিয়া, ঢাকা-১২০৭। ফোন : ০১১৯৫-৩৮১৬৩০, ০১১৯৭-২৩৫৬৮৪।

No comments:

Post a Comment