Wednesday, March 30, 2011

ওজন কমাতে সাইকেল চালনা

চিকিত্সা সাময়িকী ‘আর্কাইভস অব ইন্টারনাল মেডিসিনে’ প্রকাশিত এক গবেষণা মতে, সাইকেল চালানো মধ্যবয়সী নারীদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। লক্ষণীয় ব্যাপার হলো, সাইকেল চালানোতে সামান্য সময় বেশি দিলেই চাহিদামত ওজন কমানো যায়। গবেষণাটি শেষ করতে গবেষকরা ১১৬ ও ৬০৮ জন মহিলার তথ্যসংবলিত একটি গবেষণা পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং তাদের কাছ থেকে এ ব্যাপারে নিয়মিত তথ্য সংগ্রহ করেছেন। এতে অংশগ্রহণকারী মহিলারা ১৯৮৯ সাল থেকে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে এসেছেন, যার মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক আচরণ, চিকিত্সা, ইতিহাস, লাইফস্টাইল ইত্যাদি। বিশেষ এ গবেষণা থেকে গবেষকরা ২৫ থেকে ৪২ বছর বয়সী মহিলাদের ব্যায়াম এবং তাদের ওজনের পরিবর্তন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন।
শেষদিকে গবেষকরা দেখেছেন, ১৯৮৯ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে মহিলাদের গড়ে ২১ পাউন্ড ওজন বেড়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম তারাই, যারা দিনে ৩০ মিনিট করে শারীরিক পরিশ্রম বেশি করেছেন। এ ধরনের সুবিধা পেতে মহিলাদের হঠাত্ই কোনো শারীরিক পরিশ্রমে জড়িত হওয়ার প্রয়োজন নেই বরং যাদের খুব ধীরে ওজন বেড়েছে তারা নিয়মিত বিভিন্ন ব্যায়াম যেমন—দ্রুত দৌড়ানো, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো ইত্যাদি কাজগুলোই করেছেন।
ব্যায়ামের প্রভাব খতিয়ে দেখতে গিয়ে গবেষকরা বিশেষভাবে লক্ষ রেখেছেন সাইকেল চালানোর দিকে। গবেষকরা দেখেছেন, একজন মহিলা যত বেশি সময় ধরে সাইকেল চালিয়েছে তার ওজন তত ধীরে বেড়েছে।
তবে একটি ব্যাপার লক্ষণীয়, খুব কম মহিলাই সাইকেল চালানোতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেছেন বরং বেশিরভাগ মহিলা তাদের ব্যায়াম হিসেবে হাঁটাহাঁটিকেই পছন্দ করেন। এর কোনো বিশেষ কারণ এখনও অজানা। হতে পারে হাঁটাহাঁটির এখনও ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা অথবা সাইকেল চালানো নিয়ে তেমন কোনো গবেষণা না হওয়ার কারণে।
তবে একথাও ঠিক, বেশিরভাগ মহিলার সাইকেল চালানোর তেমন কোনো সুবিধাজনক জায়গা থাকে না। অথচ সাইকেল চালানো হাঁটার মতোই একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যায়াম। গবেষকরা আশাবাদী, অনেক মহিলাই ব্যায়ামের এ মাধ্যমটিকে বেছে নেবেন। আরও বিশেষভাবে বললে, তারা তাদের চলাচলের মাধ্যম হিসেবে সাইকেলকেই বেছে নেবেন, যাতে তাদের সময়ও বেঁচে যায়। তারা স্কুল কিংবা কাজের জায়গাগুলোয় যাতায়াতের জন্য সাইকেলকে বেছে নিতে পারেন। এতে লাভ দুটি, তাদের প্রধান লক্ষ্য গন্তব্যস্থানে যাওয়া যেমন সহজ হবে, তেমনি তাদের ব্যায়ামও হবে—যেটা তাদের জন্য অতি প্রয়োজনীয়।

No comments:

Post a Comment