Monday, April 25, 2011

গৃহস্থালি টিপস্

পাতিলেবুর খোসা না ফেলে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে ডিটারজেন্টের সঙ্গে মিশিয়ে কাপড় ধুলে ভালো পরিষ্কার হবে এবং কাপড়ে সুন্দর গন্ধও হবে। িগুড়ো সাবানের সঙ্গে মিশিয়ে মাজলে বাসন ঝকঝকে হবে। িনিমকি, শিঙ্গাড়া, পরাটার ময়দা মাখার সময় লেবুর রস দিলে মচমচে হবে। িমাথায় খুশকি হলে ছানার পানির সঙ্গে পাতিলেবুর রস লাগান। সপ্তাহে অন্তত দু'দিন লাগাতে হবে। কিছুদিনের মধ্যেই খুশকি সেরে যাবে। িলেবু পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, রস বের করে আইস ট্রেতে জমিয়ে রাখুন। প্রয়োজন মতো ব্যবহার করতে পারবেন। িদেয়ালে অথবা দরজা-জানালার ফাঁকা অংশে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে রাখুন, ঘরে পিঁপড়ার উপদ্রব বন্ধ হবে।

ফাহমিদা আক্তার

গরমে থাকুন সুস্থ-সতেজ

গরমের দাবদাহ মানেই প্রচুর পিপাসা, ঘামানো, আহারে অরুচি আর ক্লান্তি। কি খাবেন, কেমন পোশাকে আরাম পাবেন, কি করলে এই গরমেও থাকবেন সুস্থ, সুন্দর, নির্মল তা নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন। লিখেছেন _ খুরশীদা রহমান চৈতী



আমাদের বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। এখানে গ্রীষ্ম ঋতু দীর্ঘস্থায়ী হয়। এ সময় লাগাতার তাপ সহ্য করা ও সুস্থ থাকা খুবই কষ্টকর। গরমে সুস্থ থাকার জন্য একান্ত প্রয়োজন সঠিক খাদ্যাভ্যাস। খাদ্য তালিকায় ভুল নির্বাচন বা অত্যাবশ্যক খাবারের অনুপস্থিতি আপনাকে অসুস্থ করে তুলতে পারে।


গরমে কি খাবেন বা কি এড়িয়ে চলবেন

প্রতিদিন অন্তত ২ থেকে আড়াই লিটার পানি পান করা।

তৈলাক্ত ও অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার, রাস্তার খোলা খাবার বা পানীয় এড়িয়ে চলা ভালো। এসব খাবারে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। িগরমকাল মানেই ব্যাকটেরিয়া ভাইরাসের বংশবৃদ্ধির আদর্শ সময়। খাবার বা পানিবাহিত অসুখ, যেমন টাইফয়েড, জন্ডিস এসব অনাকাক্ষিত রোগ এসময় বেশি হয়। সে জন্যই রাস্তার শরবত, খোলা খাবার বা কাটা ফল খাওয়া উচিত নয়। িএকসঙ্গে বেশি পরিমাণ খাবার না খেয়ে বারবার অল্প পরিমাণে হালকা খাবার খাওয়া উচিত। িএ সময় শরীর থেকে ঘাম হয়ে শরীরের দরকারি লবণ-পানি ঝরে পড়ে। তাই গরমে মৌসুমি সবজি ও ফল যেমন- লাউ, পেঁপে, পটল, ঝিঙে বা তরমুজ, আম, জাম, জামরুল খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত। সেই সঙ্গে ডাবের পানি, টাটকা ফলের রস, শসা বেশি করে খাওয়া দরকার। বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকোলি, শিম এড়িয়ে চলুন।

িটক দই অত্যন্ত উপকারী। গরমে নানাভাবে টক দই খাওয়া দরকার।

মোট কথা এমন খাবার বেছে নিন, যাতে ফাইবার, ক্লোরফিল, ওয়াটার কনটেন্ট, প্রচুর জলীয় উপাদান ও অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট বেশি থাকবে।

গরমে রূপচর্চা : ঘামে ভিজে মাথায় গন্ধ বা দিনের শেষে চটচটে চুল নিয়ে ঝামেলা লেগেই থাকে। সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন ভালো শ্যাম্পু দিয়ে অবশ্যই চুল ধুয়ে নেবেন। মাসে দুবার চুলের প্রকৃতি অনুযায়ী কন্ডিশনিং করা জরুরি। টক দই, ডিম, মোসাম্বির রস, অল্প হেনা শিকাকাই, আমলকী-মেথি পাউডার, নারিকেল তেল দিয়ে একটা প্যাক বানান। ৪৫ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। শেষে আধা মগ পানিতে ১টি পাতিলেবুর রস ও অল্প ভিনেগার মিশিয়ে চুল ধুয়ে নিলে ঔজ্জ্বল্য বাড়বে। স্কিন ট্যান দূর করতে কমলালেবুর খোসা বাটা ও শসার রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগান। রোদ থেকে ফিরে শসার রস ও তরমুজের রস একসঙ্গে মিশিয়ে ১০ মিনিট লাগান। টক দই মুখে মেখে গোটা চিনি দিয়ে হালকা হাতে ৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন। ত্বক পরিষ্কার রাখুন, তাতেই ৮০ ভাগ সমস্যা মিটে যাবে। রোদে বেরুনোর অন্তত ২০ মিনিট আগে অবশ্য সান ব্লক লোশন (জেল বেসড হলে ভালো) ব্যবহার করুন। গরমে ঘামের সঙ্গে তেল বেরোয় বেশি। ফলে ব্লাক, হেডস, হোয়াইট হেডস, ব্রণের সমস্যা বাড়ে। ত্বক পরিষ্কার রেখে নিযমিত ক্লিনজিং, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিং করা এবং ত্বক অনুযায়ী প্যাক লাগানো উচিত। গ্রিন-টি'র লিকার ঠাণ্ডা করে টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। অতিরিক্ত গরমে সিন্থেটিক পোশাক না পরাই ভালো, হালকা রং-এর সুতির নরম পোশাক পরাই ভালো। খুব টাইট,পা ঢাকা জুতা পরার চেয়ে খোলা স্যান্ডেল পরা ভালো। বাইরে বের হবার সময় সাথে ছাতা, সানগ্লাস এবং পানির বোতল নিতে ভুলবেন না।

চোখের যত্নে

কর্মব্যস্ত দিনে চোখে বেশি চাপ পড়ে। কারণ, কখনো কম্পিউটারের সামনে, কখনো টেলিভিশনের সামনে বা কখনো মনোযোগ দিয়ে কিছু পড়া হয়। এর মধ্যে চোখের বিশ্রামের কথা ভাবার অবকাশ হয় না। এ ছাড়া চোখ সাজানোর জন্য কত কিছুই তো করা হয়। কিন্তু বাড়ি ফিরে ভালোভাবে চোখ কি পরিষ্কার করা হয়?
হারমনি স্পার রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা বলেন, একনাগাড়ে কাজ করা উচিত নয়। বিশেষ করে কম্পিউটারে। সম্ভব হলে ১৫ মিনিট অন্তর অন্তর কিছুক্ষণ চোখ বুজে থাকুন। তা না করলে চোখে লাল হয়ে যায়। দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসে। এগুলো ছাড়াও চোখে নানা ধরনের সমস্যা দেখা যায়। বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। তবে প্রতিদিন যত্ন নিলে ছোট সমস্যাগুলো এড়ানো যায়। অফিসে বা বাড়িতে বসেই এ যত্ন নিতে পারেন। সে জন্য নানা পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
ওয়াটার প্রুফ মাশকারা ও আইলাইনার খুব প্রয়োজন না হলে ব্যবহার না করাই ভালো। চোখের ভালো মানের কৃত্রিম পাপড়ি ব্যবহার করা উচিত। কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে এর ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। কাজের চাপ বেশি থাকলে চোখে কয়েক মিনিট আইকভার দিয়ে রাখতে পারেন। আইকভার না থাকলে নরম কাপড় দিয়ে চোখ ঢেকে রাখুন। এ ছাড়া বাইরে থেকে ফিরেই চোখে বেশি করে পানির ঝাপটা দেওয়া উচিত। এতে ধুলা-ময়লা সব পরিষ্কার হবে।
এবার তুলতে হবে চোখের মেকআপ। তুলায় বেবি অয়েল বা অলিভ অয়েল নিয়ে ধীরে ধীরে মেকআপ তুলুন। অনেকে অন্য কোনো প্রসাধনসামগ্রী ব্যবহার না করলেও নিয়মিত কাজল ব্যবহার করেন। তাঁরা মনে করেন, এটি আবার তোলার কী আছে। এটি ভুল ধারণা। কাজলও ভালোভাবে তুলতে হবে। অলিভ অয়েল বা বেবি অয়েল তুলায় নিয়ে কাজল তুলতে পারেন। চোখের মেকআপ তোলার জন্য বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের লিকুইড পাওয়া যায়। সেসবও ব্যবহার করতে পারেন। চোখের নিচে কালো দাগ থাকলে আন্ডারআই ক্রিম ব্যবহার করুন। চোখের ক্লান্তি কমাতে শসা বা আলুর রস তুলায় ভিজিয়ে চোখের ওপরে দিন। কয়েক মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। কাঁচা দুধের মধ্যে তুলা ভিজিয়েও চোখের উওপরে ১০ মিনিট রাখতে পারেন। ফ্রিজে রাখা ব্যবহূত টি-ব্যাগ চোখের চারপাশে ১০ মিনিট রেখে দিন। দেখবেন নিমেষেই ক্লান্তি দূর হয়ে গেছে।
ছুটির দিনে বাড়িতে বসে চোখের উপযোগী প্যাক লাগাতে পারেন। টমেটোর রস, মসুর ডাল, গুঁড়া দুধ, মধু ও তিলের তেল মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করতে পারেন। যাঁদের চোখ ফোলা থাকে, তাঁরা ত্রিফলার গুঁড়া, দুধ ও মধু মিশিয়ে হালকা করে মালিশ করুন। এতে চোখের ফোলাভাব কমে যাবে।
চোখের উপযোগী ব্যায়াম নিয়মিত করা উচিত। মাথা সোজা রেখে চোখ হাতের ডান থেকে বাঁয়ে ও বাঁ থেকে ডানে ১০ বার ঘোরাতে হবে। প্রতিদিন সম্ভব না হলে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন করা যেতে পারে। রোদে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করুন। আর সানগ্লাস পরতে ভুলবেন না। সঙ্গে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। চোখের ক্লান্তি দূর করতে প্রকৃতির সবুজ রঙের জুড়ি নেই। একটু সময় পেলে সবুজে ঘেরা কোথা থেকে ঘুরে আসুন। মনও ভালো থাকবে, চোখও আরাম পাবে।

গরমে চুল বাঁধার ঢং

অসহ্য গরমে চুল খুলে রাখা বিপত্তিই। তবে কি কেটে ফেলবেন লম্বা চুলগুলো! তা কেন? জেনে নিন গরমে কীভাবে বেঁধে রাখবেন চুল। তাতে স্টাইলে কমতি হবে না একটুও।
চুল বাঁধার বেশ কয়েক ধরনের পদ্ধতির কথাও জানিয়েছেন হেয়ারোবিক্সের সৌন্দর্যবিষয়ক পরামর্শদাতা তানজিমা শারমিন।
গরমে একটু উঁচু করে চুল বাঁধতে চাইলে পনিটেল সবচেয়ে সহজ উপায়। অপেক্ষাকৃত গোল মুখের সঙ্গে পনিটেল বেশি ভালো লাগে। নানা নামে পনিটেলের আছে রকমফের।
সহজে এবং তাড়াতাড়ি চুল বাঁধার উপায় হলো পনিটেল। ছোট কাঁকড়া ক্লিপ বা পাঞ্চ ক্লিপ দিয়ে কিছু চুল আটকে পুরো চুলটা পনিটেল করে রাখা যায়। আবার সব চুল টেনে উঁচু করে পনিটেল করতে পারেন।


রিবন টুইস্ট
পুরো চুল আঁচড়ে মাথার একপাশে নিয়ে আসতে হবে। যে পাশে চুল থাকবে না, সেই পাশে পিন দিয়ে ভালোভাবে আটকে দিতে হবে।
এবার একপাশে আনা চুলগুলো রাবার ব্যান্ড দিয়ে পনিটেল করে নিতে হবে। পনিটেল করা চুলগুলো কালো ফিতা দিয়ে পেঁচিয়ে নিচের দিকের কিছুটা গোছা ছেড়ে রাখতে হবে। গরমের সময় সালোয়ার-কামিজ কিংবা পশ্চিমা ধাঁচের পোশাকের সঙ্গে এই চুল বাঁধা খুব মানায়।


খোঁপা
যাঁদের চুল খুব বেশি লম্বা তাঁরা সহজেই করে ফেলতে পারেন খোঁপা।
অনেকেই কয়েক প্যাঁচ দিয়ে খোঁপা করে থাকেন। সুতি শাড়ির সঙ্গে এই খোঁপা খুব মানায়। খোঁপার পাশেই যদি গুঁজে দেওয়া যায় বেলি ফুলের মালা, তবে তো কথাই নেই। গরমে স্বস্তি আর ফ্যাশন হবে একই সঙ্গে। প্রয়োজন মনে করলে স্প্রে দিয়ে চুল আটকে নিন।

Wednesday, March 30, 2011

ওজন কমাতে সাইকেল চালনা

চিকিত্সা সাময়িকী ‘আর্কাইভস অব ইন্টারনাল মেডিসিনে’ প্রকাশিত এক গবেষণা মতে, সাইকেল চালানো মধ্যবয়সী নারীদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। লক্ষণীয় ব্যাপার হলো, সাইকেল চালানোতে সামান্য সময় বেশি দিলেই চাহিদামত ওজন কমানো যায়। গবেষণাটি শেষ করতে গবেষকরা ১১৬ ও ৬০৮ জন মহিলার তথ্যসংবলিত একটি গবেষণা পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং তাদের কাছ থেকে এ ব্যাপারে নিয়মিত তথ্য সংগ্রহ করেছেন। এতে অংশগ্রহণকারী মহিলারা ১৯৮৯ সাল থেকে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে এসেছেন, যার মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক আচরণ, চিকিত্সা, ইতিহাস, লাইফস্টাইল ইত্যাদি। বিশেষ এ গবেষণা থেকে গবেষকরা ২৫ থেকে ৪২ বছর বয়সী মহিলাদের ব্যায়াম এবং তাদের ওজনের পরিবর্তন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন।
শেষদিকে গবেষকরা দেখেছেন, ১৯৮৯ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে মহিলাদের গড়ে ২১ পাউন্ড ওজন বেড়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম তারাই, যারা দিনে ৩০ মিনিট করে শারীরিক পরিশ্রম বেশি করেছেন। এ ধরনের সুবিধা পেতে মহিলাদের হঠাত্ই কোনো শারীরিক পরিশ্রমে জড়িত হওয়ার প্রয়োজন নেই বরং যাদের খুব ধীরে ওজন বেড়েছে তারা নিয়মিত বিভিন্ন ব্যায়াম যেমন—দ্রুত দৌড়ানো, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো ইত্যাদি কাজগুলোই করেছেন।
ব্যায়ামের প্রভাব খতিয়ে দেখতে গিয়ে গবেষকরা বিশেষভাবে লক্ষ রেখেছেন সাইকেল চালানোর দিকে। গবেষকরা দেখেছেন, একজন মহিলা যত বেশি সময় ধরে সাইকেল চালিয়েছে তার ওজন তত ধীরে বেড়েছে।
তবে একটি ব্যাপার লক্ষণীয়, খুব কম মহিলাই সাইকেল চালানোতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেছেন বরং বেশিরভাগ মহিলা তাদের ব্যায়াম হিসেবে হাঁটাহাঁটিকেই পছন্দ করেন। এর কোনো বিশেষ কারণ এখনও অজানা। হতে পারে হাঁটাহাঁটির এখনও ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা অথবা সাইকেল চালানো নিয়ে তেমন কোনো গবেষণা না হওয়ার কারণে।
তবে একথাও ঠিক, বেশিরভাগ মহিলার সাইকেল চালানোর তেমন কোনো সুবিধাজনক জায়গা থাকে না। অথচ সাইকেল চালানো হাঁটার মতোই একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যায়াম। গবেষকরা আশাবাদী, অনেক মহিলাই ব্যায়ামের এ মাধ্যমটিকে বেছে নেবেন। আরও বিশেষভাবে বললে, তারা তাদের চলাচলের মাধ্যম হিসেবে সাইকেলকেই বেছে নেবেন, যাতে তাদের সময়ও বেঁচে যায়। তারা স্কুল কিংবা কাজের জায়গাগুলোয় যাতায়াতের জন্য সাইকেলকে বেছে নিতে পারেন। এতে লাভ দুটি, তাদের প্রধান লক্ষ্য গন্তব্যস্থানে যাওয়া যেমন সহজ হবে, তেমনি তাদের ব্যায়ামও হবে—যেটা তাদের জন্য অতি প্রয়োজনীয়।

গরমে ছিমছাম সারাদিন

সকালবেলা ছিলেন পরিপাটি। চোখে-মুখে প্রসাধনের হালকা ছোঁয়া। ব্যস, বেরিয়ে পড়লেন কাজের উদ্দেশ্যে। বেলা গড়াতে থাকল। দিন শেষে দেখলেন, চেহারার সেই পরিপাটি ভাবটি আর নেই। লিপস্টিক আর কাজলও হয়তো লেপটে গেছে। মনই খারাপ হয়ে যায়। নিজের ওপর বিরক্ত লাগে। তখন একটু সাজসজ্জা না করলে সারাদিনের ক্লান্তিটা ঢাকা পড়ে না। কীভাবে তা করবেন, সে বিষয়ে কিছু পরামর্শ দেয়া হলো।
খুব গরম না থাকলেও আবহাওয়া এখন গরম। ফলে মেকআপ করতে হবে সে অনুযায়ী। সকালে যেভাবে সেজে বেরিয়েছিলেন, সেভাবেই মেকআপ ঠিকঠাক করে নিতে হবে।
সকালে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন লোশন লাগিয়ে নিন। এরপর পাউডার ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে পারেন। এটি না করতে চাইলে শুধু ফেস পাউডার লাগিয়ে বের হতে পারেন। চোখে হালকা রংয়ের আইশ্যাডো ব্যবহার করুন। সঙ্গে কাজল আর আইলাইনার নিতে ভুলবেন না। তবে খুব গরম, বৃষ্টি বা বিশেষ কোনো অনুষ্ঠান না থাকলে পানিরোধী কাজল, মাশকারা ও আইলাইনার ব্যবহার না করাই ভালো। সারা দিনের ঘাম আর গরমে হয়তো মুখ তৈলাক্ত হয়ে যায়। তখন চেহারায় সকালের সেই স্নিগ্ধ ভাবটি থাকে না। সে সময় ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়ার দরকার নেই। এতে করে নিজেকে আবার তৈরি করতে বেশ সময় লাগে। সে কারণে ফেসিয়াল ওয়াইপস বা ওয়েট টিস্যু দিয়ে শুধু মুখটা মুছে নিন। চোখের অংশে হাত দেবেন না। কোনো ময়েশ্চারাইজার লোশন লাগিয়ে নিন। এরপর ব্যবহার করুন ফাউন্ডেশন। এর পরিবর্তে আপনি টিনটেন্ড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন, যা ফাউন্ডেশনের মতো কাজ করবে। যদি রাতের দিকে কোনো অনুষ্ঠানে যেতে হয়, তাহলে স্পঞ্জ সামান্য ভিজিয়ে ফাউন্ডেশন নিয়ে মুখে ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে মেকআপ একটু জমকালো হবে। এরপরও মুখ যদি তৈলাক্ত হয়ে যায়, তাহলে ব্লটিং পেপার দিয়ে হালকা চাপ দিয়ে তেল বা ঘাম উঠিয়ে নিন। আপনি চাইলে স্টিক ফাউন্ডেশনও ব্যবহার করতে পারেন। তবে তরল ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা উচিত নয়। সংবেদনশীল ত্বকে বা যাদের ব্রণ ওঠার প্রবণতা আছে, তাদের জন্য মেডিকেটেড কনসিলার উপযুক্ত। মেকআপ বেশি হয়ে গেলে টিস্যু পেপার দিয়ে হাল্কাভাবে মুছে নিতে পারেন। এরপর ব্রাশ দিয়ে লুজ পাউডার দিতে হবে। পাউডার ব্লাশ-অনই বেশি ব্যবহার করে সবাই। ক্রিম ব্লাশ-অনও ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে গাঢ় গোলাপি (ডাসকি পিঙ্ক) রংটাকে প্রাধান্য দিলে চেহারায় একটা উজ্জ্বলতা দেখা দেবে। এটা লাগাতে হবে গালের হাড় বা চিকবোনের ওপর থেকে নিচের দিকে।
দিনেরবেলা ম্যাট ধরনের হালকা রংয়ের আইশ্যাডো ব্যবহার করা উচিত। তবে রাতে বা সন্ধ্যার পার্টির জন্য গাঢ় শ্যাডোই ভালো হবে। কাজল বা আইলাইনারের ওপর দিয়ে আরেকবার এঁকে দিন। কাজল লেপটে গেলে আলতো করে মুছে নিয়ে আবার লাগিয়ে নিন। কাজল, আইলাইনার একসঙ্গে মিশিয়ে স্মোকিং লুক দিতে পারেন চোখে। গ্লিটার দেয়া আইলাইনার ব্যবহার করলে আর কিছু না লাগানোই ভালো।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, সকালে ঠিকই রাঙিয়ে ছিলেন ঠোঁটকে। কিন্তু দিন শেষে তা মিলিয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে আপনি লিপলাইনার দিয়ে ঠোঁট এঁকে নিতে পারেন। এরপর একই রংয়ের লিপস্টিক ব্যবহার করুন। এতে করে লিপস্টিক ছড়িয়ে পড়বে না। ঠোঁট শুষ্ক হলে একটু লিপজেল বা বাম আগে লাগিয়ে নিন। দিনেরবেলা ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার করুন। হালকা গোলাপি, ধূসর বাদামি, মভ রংয়ের লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন। তবে রাতেরবেলা গ্লসি লিপস্টিক ব্যবহার করা উচিত। ঘামে চুল তৈলাক্ত হয়ে গেলে ট্যালকম পাউডার সামান্য পরিমাণে চুলের গোড়ায় দিয়ে উল্টো করে চুলটাকে আঁচড়ে ফেলুন। এতে চুলে ঝরঝরে ভাব আসবে। এরপর আপনার পছন্দ ও অনুষ্ঠানের উপযোগী করে চুলগুলো বেঁধে ফেলুন। হালকা কোনো সুগন্ধি ব্যবহার করুন। হয়ে গেল সাজ। তবে মনে রাখতে হবে, কর্মজীবী মেয়েদের ব্যাগে প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রসাধনসামগ্রী থাকা উচিত। তাহলে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হবে না। সারাদিন থাকতে পারবেন ছিমছাম।



কুটুমবাড়িতে গ্রামের খাবারকুটুমবাড়ি তার শহরের কুটুমদের জন্য এনেছে নতুন একটি খাবারের প্যাকেজ। নাম গ্রামের খাবার। শুধু নামেই গ্রামের খাবার নয়, এ প্যাকেজে রয়েছে গ্রামের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী খাবার। আর এসব খাবার খেতেও হবে মাটির পাত্রে। এ প্যাকেজে থাকছে সাদা ভাতের সঙ্গে প্যাকেজ-১ : শনিবার চিংড়ি ভর্তা, আলু ভর্তা, বরবটি ভর্তা, ঢেঁড়স ভাজি, ডাল ও সবুজ সালাদ। প্যাকেজ-২ : রোববার টাকি ভর্তা, টমেটো ভর্তা, পেঁপে ভর্তা, করলা ভাজি, ডাল ও সবুজ সালাদ। প্যাকেজ-৩ : সোমবার শুঁটকি ভর্তা, কাঁচকলা ভর্তা, ডাল ভর্তা, শিম-আলু ভাজি, ডাল ও সবুজ সালাদ। প্যাকেজ-৪ : মঙ্গলবার চিংড়ি ভর্তা, ঢেঁড়স ভর্তা, ধনেপাতা, মিষ্টি কুমরা ভাজি, ডাল ও সবুজ সালাদ। প্যাকেজ-৫ : বুধবার টাকি ভর্তা, থানকুনি পাতা ভর্তা, মরিচ-পেঁয়াজ ভর্তা, চিচিঙ্গা ভাজি, ডাল ও সবুজ সালাদ। প্যাকেজ-৬ : বৃহস্পতিবার শুঁটকি ভর্তা, ডিম ভর্তা, কালোজিরা ভর্তা, বাঁধাকপি ভাজি, ডাল ও সবুজ সালাদ। প্যাকেজ-৭ : শুক্রবার টাকি ভর্তা, শিম ভর্তা, আলু ভর্তা, মুড়িঘণ্ট, ডাল ও সবুজ সালাদ। খাওয়া যাবে প্রতিদিন বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। প্যাকেজ মূল্য মাত্র ১০৯ টাকা। উল্লেখ্য, কুটুমবাড়ি মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের একটি প্রতিষ্ঠান। কুটুমবাড়িতে বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজে খাবারের পাশাপাশি চাহিদা অনুযায়ী সব খাবার খাওয়ার সুযোগ রয়েছে। ঠিকানা : কুটুমবাড়ি, ২/১২ ব্লক-এফ (লালমাটিয়া মহিলা কলেজের পাশে), লালমাটিয়া, ঢাকা-১২০৭। ফোন : ০১১৯৫-৩৮১৬৩০, ০১১৯৭-২৩৫৬৮৪।

গরমে আরামদায়ক পোশাক

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় উত্তরাঙ্গন বুটিক। সেই ধারাতেই এ গরমে উত্তরাঙ্গন বুটিক নিয়ে এসেছে গরমের বেশকিছু নতুন পোশাক। উত্তরাঙ্গন বুটিকের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক ও স্বত্বাধিকারী দেশের স্বনামধন্য ত্বকবিশেষজ্ঞ ডা. জাকিয়া মাহফুজা হাসান বলেন, ‘যেহেতু আমি একজন ত্বকবিশেষজ্ঞ তাই চাই এদেশের মানুষের জন্য ত্বকের সঙ্গে সহনীয় ফেব্রিক্স ও রং ব্যবহার করে পোশাক তৈরি করতে। আমাদের দেশের মানুষের ত্বকের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও ত্বকবান্ধব সুদৃশ্য পোশাক তৈরি-ই উত্তরাঙ্গন বুটিকের মুখ্য উদ্দেশ্য। এ লক্ষ্যেই আমরা নিয়ে এসেছি গরম উপযোগী ও ত্বকবান্ধব বেশকিছু এক্সক্লুসিভ শাড়ি।’ এছাড়াও পাওয়া যাচ্ছে ত্বক উপযোগী নতুন ডিজাইনের এক্সক্লুসিভ শাড়ি, বাহারি থ্রি-পিস, ফতুয়া এবং ছেলেদের জন্য ফতুয়া, শর্ট, পাঞ্জাবি, কর্তা ও আঙরাখা। উল্লেখ্য, উত্তরাঙ্গন বুটিকে রয়েছে নিজের মতো পোশাক তৈরির সুবিধা।
ঠিকানা : উত্তরাঙ্গন বুটিক—বাড়ি-১২, সোনারগাঁও রোড, সেক্টর-৯, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০। ফোন : ০২-৮৯২০৫৩৩, ০১৯২৬ ৫৯০০৫৩।

অনলি ওয়ান

এই গরমে অনলি ওয়ান শার্ট নিয়ে এসেছে গরমের এক্সক্লুসিভ শার্ট। এদেশের গরমের কথা মাথায় রেখে ভিন্নতা আনা হয়েছে ডিজাইন ও রংয়ের ব্যবহারের ক্ষেত্রে। উন্নতমানের কাপড়ে তৈরি করা হয়েছে হাফহাতা ও ফুলহাতা এক্সিকিউটিভ ও ক্যাজুয়াল শার্ট । অনলি ওয়ানের শার্ট পাওয়া যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন শার্টের শোরুমে। কারণ এ প্রতিষ্ঠান শুধু পাইকারি বিক্রয় করে থাকে। সারা দেশে কোথাও তাদের কোনো নিজস্ব শোরুম নেই। অনলি ওয়ান গার্মেন্টসের স্বত্বাধিকারী মো. মঈনুল ইসলাম সোহাগ বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব শোরুম না থাকলেও সারাদেশে বিভিন্ন বড় শোরুমে আমাদের শার্ট পাওয়া যায়। আগ্রহী ক্রেতারা সেখান থেকে সহজেই অনলি ওয়ানের শার্ট কিনতে পারবেন।’ উল্লেখ্য, সারাদেশের পাইকারদের যোগাযোগরে জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। ঠিকানা : ৩৯ মেহেরবান মার্কেট (৪র্থ তলা), উর্দু রোড, লালবাগ, ঢাকা ও ১৪৭ নগর প্লাজা (আন্ডার গ্রাউন্ড) ফুলবাড়িয়া, ঢাকা। ফোন : ০১৭৩৭৩৫৫০৬৫ ওয়েব সাইট .িড়হষুড়হবনফ.পড়স, ঐড়ঃষরহব-০১৬১ঙঘখণঙঘঊ

মুসলিম কালেকশন

আসছে গরমে স্বনামধন্য ফ্যাশন হাউস মুসলিম কালেকশন নিয়ে এসেছে বেশকিছু নতুন ডিজাইনের এক্সক্লুসিভ শার্ট। শার্টগুলোয় ব্যবহার করা হয়েছে সময়োপযোগী কাপড়। রং ও ডিজাইনের ক্ষেত্রে আনা হয়েছে গরমের উপযোগিতা। সম্পূর্ণ নিজস্ব ডিজাইনার দ্বারা ডিজাইনকৃত এসব শার্টে ব্যবহার করা হয়েছে স্ট্রাইপ, জ্যামিত্যিক কলার, বৃত্তপ্রিন্টসহ নানা ধরনের ডিজাইন। তারুণ্যর প্রিয় ব্র্যান্ড মুসলিম কালেকশনের শার্টগুলো পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করা হয়। বিস্তারিত জানতে যোগাযোগের ঠিকানা মুসলিম কালেকশন, ২৭ মাহবুব আলম শপিং কমপ্লেক্স (নিচতলা), পূর্ব আগানগর, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা। ফোন : ০১৭৩৭৭৩০৩১৩।

বালুচর

ফ্যাশন হাউস বালুচর বৈশাখ উপলক্ষে নিয়ে এসেছে বেশকিছু ঋতুভিত্তিক পোশাক। মোটিভ হিসেবে প্রকৃতি, নীল ও সবুজের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। পোশাক হিসেবে রয়েছে মেয়েদের টপস, ওড়না, সালোয়ার-কামিজ, লেডিস ফতুয়া ও শাড়ি। ছেলেদের জন্য রয়েছে শার্ট, টি-শার্ট, পলো টি-শার্ট, ফতুয়া, পাঞ্জাবি ও শর্ট-পাঞ্জাবি। প্রতিটি পোশাকের কাটিংয়ে আনা হয়েছে ভিন্নতা। পোশাকে রয়েছে দেশীয় ও ওয়েস্টার্ন লুক। খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করা হয়। শোরুম : ১. ৮১ আজিজ সুপার মার্েকট, ৩য় তলা। ২. গ্র্যান্ড প্লাজা, লেভেল-২, ২২৭, দোকান-২১৫, বড়মগবাজার, ওয়ারলেস গেট। মোবাইল : ০১৭১৬৫৫৬২৭১

কারখানা

ফ্যাশন হাউস কারখানা এবারের আয়োজনে নিয়ে এসেছে নান্দনিক পোশাক। কারখানা বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে নানা রকম পোশাক নিয়ে তার গ্রাহকের সামনে হাজির হয়ে থাকে। ফ্যাশনের ক্ষেত্রে কারখানা তারুণ্যের কথা মাথায় রেখে সুতি কটন ও গ্যাবাডিং কাপড়কে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। এসর পোশাকের ডিজাইন করে থাকে আল আমিন ও মাসুদ রানা।
তাদের ডিজাইনকৃত পোশাকের মধ্যে রয়েছে টি-শার্ট, পলো টি-শার্ট, শার্ট, হাফহাতা শার্ট, ফুলহাতা শার্ট প্রভৃতি। খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করা হয়। ৭৭ আজিজ সুপার মার্কেট, ২য় তলা। মোবাইল : ০১৭১১১৫৯৮৬৩
তানহা
তানহা বুটিক হাউসটি এরই মধ্যে তারুণ্যের পোশাক তৈরি করে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। বুটিকটি তার আকর্ষণীয় ও বৈচিত্র্যপূর্ণ পোশাক গ্রাহকদের হাতে পৌঁছে দিতে বসুন্ধরায় নতুন একটি শোরুম চালু করেছে ৩ মার্চ বুধবার থেকে। এ সময় তানহা বুটিক ও ফ্যাশন নিয়ে এসেছে গরমে আরামদায়ক ও সময়ের সঙ্গে মানানসই।
সুতি, সিল্ক, অ্যান্ডি, শিফন, জর্জেট কাপড়সহ পোশাক তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে কুমিল্লা, চান্দিনা ও টাঙ্গাইলের তাঁতের কাপড়। ছয়টি রংয়ের সুতা দিয়ে করা হয়েছে মেশিন এম্ব্রয়ডারি ও হাতের কাজ। কিছু সালোয়ার-কামিজে আছে জরি, চুমকি ও মিররের কাজ। রং হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে মেজেন্ডা, সাদা, কালো, নীল, সবুজ, হলুদ, অ্যাশ, গোলাপি ও বেগুনি ইত্যাদি। কাটিং ও ডিজাইনে আনা হয়েছে বৈচিত্র্য। দাম পড়বে ৭৫০ থেকে ৫ হাজার ৫৫০ টাকা।
এ সময়ের পোশাকগুলো পাওয়া যাবে তানহার তিনটি শোরুমে। ক. দোকান ১৫-১৬, লেভেল-৩, ইস্টার্ন মল্লিকা, এলিফ্যান্ট রোর্ড, ঢাকা। খ. বসুন্ধরা সিটি : দোকান ৫৫-৫৬, ব্লক-সি, লেভেল-৩। গ. সিলেট সিটি সেন্টার সোপ : ৩০২ (২য় ফ্লোর), জিন্দাবাজার, সিলেট।
ব্যাঙ
ফ্যাশন হাউস ব্যাঙ প্রতিটি উত্সবে রকমারি আয়োজন করে থাকে। ব্যাঙে রয়েছে তরুণদের পছন্দের সব রকমের পোশাক। এগুলোর মধ্যে রয়েছে শার্ট, টি-শার্ট, পলো টি-শার্ট, ফতুয়া, পাঞ্জাবি ও শর্টপাঞ্জাবি ইত্যাদি। ব্যাঙে এখন চলছে বিশেষ ছাড়। আপনার পছন্দের পোশাকটি সংগ্রহ করতে যোগাযোগ করুন : ঢাকা শোরুম, বসুন্ধরা সিটি, মেট্রো শপিংমল, এলিফ্যান্ট রোড, রাইফেল স্কয়ার, হাটখোলা (টিকাটুলি-২), আজিজ সুপার মার্কেট। সিলেট ব্রাঞ্চ : বারুদখানা পয়েন্ট, জিন্দাবাজার ও কুমারপাড়া।

দর্জি বাড়ি

গরমে দর্জি বাড়ি তার ফ্যাশনে এনেছে ভিন্নতা। ফ্যাশন হাউসটি তার পোশাকে তারুণ্যের পছন্দকে প্রাধান্য দিয়েছে। এখানে পাওয়া যাচ্ছে শার্ট, টি-শার্ট, পলো টি-শার্ট, ফতুয়া, পাঞ্জাবি ও শর্টপাঞ্জাবি ইত্যাদি। আপনার পছন্দের পোশাকটি সংগ্রহ করতে যোগাযোগ করুন : বসুন্ধরা সিটি, মিরপুর-১০ নম্বর, মৌচাক মোড়, উত্তরা।

জীনাত ফ্যাশনে ছাড়

গরম পুরোপুরি না এলেও গরম উপলক্ষে জীনাত ফ্যাশন তার ক্রেতাদের জন্য দিচ্ছে এক বিশেষ ছাড়।
বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পোশাক কিনলেই তা পাওয়া যাবে ১০ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত। চলবে আগামী ১৫ থেকে ৩০ মার্চ। এর মধ্যে রয়েছে মেয়েদের থ্রি-পিস, সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া, লেহেঙ্গা ও শাড়িসহ বিভিন্ন পোশাক। ছেলেদের জন্য পাঞ্জাবি ও ফতুয়া। আকর্ষণীয় ডিজাইনের এ পোশাকগুলোয় রয়েছে এম্ব্রয়ডারি, কারচুপি ও হাতের কাজ। কেনাকাটায় ছাড় ছাড়াও রয়েছে পোশাক অল্টার করার সুযোগ। এছাড়াও জীনাতে রয়েছে নিজের মনের মতো পোশাক তৈরির সুবিধা।
ঠিকানা : আভা-নীড়, বাড়ি-৫৪ (অ্যাপার্টমেন্ট ১/বি), রোড-১১, ব্লক এফ, বনানি, ঢাকা-১২১৩। ফোন : ৯৮৬৩০৪৩, ০১৯৭১৫৪৮৬৯১।

সৌন্দর্য চর্চায় হারবাল

যুগ যুগ ধরে সৌন্দর্য চর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে হারবাল। কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনী আপনাকে সুন্দর করে তুললেও এর কমবেশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করেন অধিকাংশ বিশেষজ্ঞই। তবে ভেষজ উপাদান কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই প্রকৃত সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে আপনাকে করবে মোহনীয়। হারবাল রূপচর্চার নানা বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন রূপ বিশেষজ্ঞ হাসিনা মমতাজ

ত্বকে হারবাল যত্ন

ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করার বিকল্প নেই। মুখ ধোয়ার জন্য কেমিক্যালযুক্ত ক্লিনজিং মিল্ক ব্যবহার না করে হারবাল উপায়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারি। এক্ষেত্রে দুই চা-চামচ দুধের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর তাতে তুলা ভিজিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। ত্বক পরিষ্কার করার জন্য দুধ ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে তুলা ভিজিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে হলুদ বাটা ও চন্দনের গুঁড়া মিশিয়ে লাগান।
পাকা পেঁপে ময়েশ্চারাইজের কাজ করে। স্বাভাবিক ত্বকের যত্নে কাঁচা পেঁপের কষ, চন্দন গুঁড়া, গোলাপজলে মিশিয়ে মুখে লাগান। তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে দইয়ের সঙ্গে লেবুর রস মিলিয়ে সারা মুখে মেখে রাখুন। কয়েক মিনিট পর ভেজা তুলা দিয়ে মুছে ফেলুন। গোলাপ, পুদিনা, আমলা, বাঁধাকপি ও শসার নির্যাস একসঙ্গে মিশিয়ে টোনার তৈরি করে মুখে লাগালে তা ত্বককে মসৃণ করে তোলে। ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনার জন্য আমন্ড, বাদামি গোলাপের পাপড়ি এবং দুধের সর দিয়ে বেটে মুখে লাগান। ত্বককে টানটান করার জন্য ত্বকে লেবুর খোসা ঘষুন। লেবুর খোসায় উপস্থিত অ্যাস্টিনজেন্ট লোমকূপ বন্ধ করে ত্বককে টানটান করে।
ত্বকে যদি অন্য রকম এক আভা নিয়ে আসতে চান তাহলে মসুর ডাল বাটা, নিমপাতা বাটা, কাঁচা হলুদ বাটা, দই, মধু একসঙ্গে মিশিয়ে পুরো মুখে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক উজ্জ্বল করার জন্য এক কাপ ফোটানো দুধে অর্ধেক লেবুর রস দিন। এতে আধা চা-চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে দিন। রাতে শোয়ার আগে এটি মুখে ও হাতে-পায়ে মেখে নিন।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে তার ছাপ পড়তে থাকে। বয়স ধরে রাখতে হারবালের কোনো জুড়ি নেই। মুখে বয়সের ছাপ কমাতে চাইলে প্রতিদিন ডাবের পানিতে লেবুর রস দিয়ে পান করুন। যাদের মোটা শরীর তারা দেহের চর্বি কমাতে এক গ্লাস পানিতে একটি পুরো পাকা লেবুর রস এবং চার চা-চামচ মধু মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করুন।
ব্রণের সমস্যা ত্বকের সৌন্দর্য পুরোপুরি নষ্ট করে দেয়। যারা ব্রণের সমস্যায় ভোগেন তারা নিমপাতা পানিতে সেদ্ধ করে সেই পানি ও চন্দন বাটা মুখে প্রলেপ দিন। আধা ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহখানেক এভাবে করলে ব্রণ পুরোপুরি চলে যাবে। তবে অনেকে নিমপাতা বেটে মুখে লাগান। এতে ত্বক কালো হয়ে যায়। ব্রণের সমস্যায় কচি মুলার রস ও সামান্য নিমপাতা সেদ্ধ পানি তুলার সাহায্যে ত্বকে লাগান। অনেকের মুখেই কালো কালো দাগ দেখা যায় যা সৌন্দর্যহানি ঘটায়। ১ চা-চামচ ধনিয়ার রসের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে সারা রাত মুখে লাগিয়ে রেখে দিন। সকালে উঠে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটায় পুরো মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন কয়েক দিন ব্যবহারেই উপকার পাচ্ছেন। অনেকে মেছতা সমস্যায় ভোগেন। মেছতা সমস্যা একমাত্র হারবাল পদ্ধতিতেই পুরোপুরি ঠিক হয়। যাদের মুখে মেছতা আছে তারা ১ চা-চামচ সাদা জিরা গুঁড়া, ১ চা-চামচ হলুদ গুঁড়া, ১ চা-চামচ সরষে গুঁড়া ও ১ চা-চামচ আটা মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মেছতার ওপর লাগান। বিশ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মুখে ক্লান্তির ছাপ কাটাতে চন্দন বাটা, তুলসী বাটা গোলাপজলে মিশিয়ে গলায় ও মুখে লাগান। দেখবেন ত্বক উজ্জ্বল হয়ে গেছে।
মরা কোষ উঠানোর জন্য প্রয়োজন স্ক্রাবার। ভেষজ উপাদান দিয়েই স্ক্রাবিং করা যায়। এজন্য ১ চা-চামচ করে আতপ চালের গুঁড়া, মধু, মেথি, মসুর ডাল বাটা, কাঁচা হলুদ বাটা, চন্দন বাটা ডাবের পানির সঙ্গে মিশিয়ে পুরো মুখে লাগিয়ে রাখুন। বিশ-পঁচিশ মিনিট পর তা ধুয়ে ফেলুন। ত্বককে মসৃণ করার জন্য ১ কেজি পরিমাণ মসুর ডাল গুঁড়া করে তাতে আধা টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়া, শুকনো পোলাপ পাপড়ি গুঁড়া, চার টেবিল চামচ বেসন মিশিয়ে নিন। এ মিশ্রণটি গোলাপ জলের সঙ্গে মিশিয়ে আপনি মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এ মাস্কটি মুখে ও গলায় লাগিয়ে পনের মিনিট শুয়ে থাকুন। শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সমপরিমাণ ভিনেগার ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে পানি দিয়ে পাতলা করে নিয়ে ত্বকে টোনার হিসেবে ব্যবহার করুন। মুলতানি মাটি, গোলাপজল ও চন্দন গুঁড়া একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগান। বিশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এ উপকরণটি সব ধরনের ত্বকের জন্যই উপযোগী।
চুলের সৌন্দর্যে হারবাল
ত্বক যতই সুন্দর হোক না কেন চুল যদি হয় উস্কো-খুস্কো তবে সব সাজসজ্জাই মাটি হয়ে যাবে। আর তাই চুল সুন্দর করতে প্রয়োজন নিয়মিত যত্ন। চুলকে মসৃণ করতে কচি আমলকীর রস ক্যাস্টর অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় ৪০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিন। চুল কালো করতে চাইলে জবা ফুলের রস লাগান। পুষ্ট ও ঝলমলে চুলের জন্য পাকা কুমড়ার বীজ চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে। পাকা কুমড়ার বীজ শুকিয়ে বায়ু নিরোধক পাত্রে রেখে দিন এবং মাঝে-মধ্যে চিবিয়ে খান। চুলের বৃদ্ধি ঘটাতে পেঁয়াজের রস পুরো মাথায় লাগান। শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
শ্যাম্পুর বিকল্প হিসেবে আপনি চুলে রিঠা ব্যবহার করতে পারেন। এক মুঠো রিঠা সারা রাত ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই পানি ফুটিয়ে নিন। তারপর তা চুলে শ্যাম্পুর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করুন। মসুর ডাল বাটার সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে চুলে প্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। আধা ঘণ্টা মাথায় রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল সতেজ হবে। এছাড়া সারা রাত মেথি ও কয়েকটা কাঁচা আমলকী পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন তা বেটে চুলে লাগান। চুল ঝরঝরে করার জন্য মেহেদি, আমলকী, টকদই ও ডিম ভালোভাবে মিশিয়ে চুলে মাখুন এবং এক ঘণ্টা পর চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুলের প্রোটিন ট্রিটমেন্টের জন্য ডিমের সাদা অংশ ফেটে তাতে মেথি গুঁড়া মিশিয়ে চুলে লাগান।

বৈশাখী পোশাকের আগাম প্রস্তুতি

পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উত্সব। এ উত্সবে দেশের অন্যতম ফ্যাশন হাউস কে-ক্র্যাফট সেজেছে ব্যাপক আয়োজন নিয়ে। সময়ের পরিবর্তনে আজ বাংলা নববর্ষের উদযাপনে দেশের অন্যতম প্রধান আনন্দ উত্সবে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি ঘরে নতুন বর্ষকে বরণ করে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।
কে-ক্র্যাফট নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ক্রেতাগোষ্ঠীর সামনে উপস্থাপন করেছে নতুন নতুন ডিজাইনের শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, টপস, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, শার্ট, টি-শার্ট, শিশুদের পোশাক, অর্নামেন্টস, গিফটস ও গৃহসজ্জা সামগ্রী নিয়ে বৈশাখী আয়োজন। রং হিসেবে প্রধানত ব্যবহার হয়েছে লাল, মেরুন, অরেঞ্জ, সাদা, অফহোয়াইট, ম্যাজেন্টাসহ নানা রং। এ দেশের ট্রাডিশনাল ফোক মোটিফের নিরীক্ষাধর্মী নাগরিক ব্যবহার করা হয়েছে পোশাক ও অনুষঙ্গে।
নববর্ষের শাড়ি
দেশের প্রধান আনন্দ-উত্সব ঈদকে সামনে রেখে কে-ক্র্যাফট এ বছরে শাড়ির বৈচিত্র্যপূর্ণ ডিজাইনের একটি বড় আয়োজন উপস্থাপনা করেছে। নিজস্ব ডিজাইনে বোনা তাঁতের শাড়িতে থাকছে বুননরীতি, মোটিফের ব্যবহার উপস্থাপনা, কালার বিন্যাস, ভ্যালু অডিশনে নানা মিডিয়ার ব্যবহার এ নিপুণতা। এবারের বৈশাখের কাজে বিষয় হিসেবে নানারকম ভিন্নতা আনা হয়েছে। পটচিত্র, ট্রাইবাল মোটিফ, গ্রিক আর্চ মোটিফ, ইমলামিক প্লান্ট মোটিফ, ফ্লাওয়ার মোটিফ ইত্যাদি বিষয় রয়েছে। উইভিং ডিজাইনে বোনা তাঁতের শাড়িতে মার্জিত কালার ও উন্নত ফিনিশিং এ ব্লকপ্রিন্ট, স্ক্রিনপ্রিন্ট, এপ্লিক, হাজার বুটির কাজ করা হয়েছে। এ ছাড়া কিছু শাড়িতে অ্যাম্ব্রয়ডারি কাজ দেখা যাবে। প্রধানত টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জে নিজস্ব ডিজাইনে শাড়িগুলো বোনা হয়েছে। তাতে ডবি/জ্যাকার্ড ডিজাইনকৃত ও ভাইটাল শাড়ির বিশেষ আয়োজন থাকছে। উজ্জ্বল রং, কন্ট্রাস্ট কম্বিনেশন উত্সবমুখী তরুণমনের উপযোগী এ শাড়িগুলোয় ইক্কাত, চেক, ডবি ও জ্যাকার্ড ডিজাইন দেখা যাবে। উপস্থাপনা ও কালার কম্বিনেশনে চমত্কারিত্ব দৃষ্টি কাড়বে।
মানিকগঞ্জে বোনা এন্ডি শাড়ির সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বলাকা সিল্কের কম্বিনেশনে তৈরি শাড়িতে ব্লকপ্রিন্ট, স্কিনপ্রিন্ট, এপ্লিক, হাজার বুটির, এম্ব্রয়ডারি, চুমকি, পুঁতি, ভরাট ও কাঁথা স্টিচের কাজ করা হয়েছে। রুচিশীল, যত্নে তৈরি টারসের ব্যবহার শাড়ির উপস্থাপনায় এনেছে বৈচিত্র্য। মসলিন শাড়িতে গর্জিয়াস ও উত্সবধর্মী শেডওয়ার্ক, ভারী চুমকির কাজ, কারচুপি ও মেশিন এম্ব্রয়ডারি, প্যাচওয়ার্ক করা হয়েছে।
বৈশাখী আয়োজনে রুচির কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন প্রাইস রেঞ্জে কে-ক্র্যাফট তার শাড়ির কালেকশন সাজিয়েছে। সাদা, টকটকে লাল, ন্যাচারাল, লাল-মেরুন রংয়ে ডিজাইনকৃত বর্ণিল শাড়িগুলো পরিচ্ছন্ন ও দৃষ্টিনন্দন। প্রধান বৈশিষ্ট্য হিসেবে থাকছে তাঁতের কৌশল ও ভ্যালু অ্যাডিশনের উপস্থাপনায়।
সালোয়ার-কামিজ
নরসিংদী তাঁতে বয়নকৃত সুতি টুটন স্ট্রাইপ, টুইল, গুড়িচেক, নাচনাকাঠি, কাঁথা, ডবি ও জ্যাকার্ড স্টাইলে ডিজাইন করা নিজস্ব উইভিং ডিজাইনের কাপড় এবং ইয়ার্ন ডায়েড ও ন্যাচারাল এন্ডি ও জয়সিল্কের কম্বিনেশনে সালোয়ার-কামিজের বৈশাখী আয়োজন থাকছে। সালোয়ার-কামিজের কালেকশনে রং হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে কোড়া, সাদা, লাল, মেরুন, ইটলাল, অরেঞ্জ, ম্যাজেন্টার নানা কম্বিনেশন। প্রধান উজ্জ্বল রং ব্যবহারে পোশাকগুলোকে উত্সবমুখী করা হয়েছে। পাশাপাশি ভ্যালু অডিশনের ক্ষেত্রে কর্ডের ব্যবহারে এম্ব্রয়ডারি ওয়ার্ক, স্ক্রিন ও ব্লক প্রিন্ট, কাঁথা স্টিচ, কারচুপির কাজ, টাই এন্ড ডাই, এম্ব্রয়ডারি ওয়ার্কের মাধ্যমে অলংকরণ করা হয়েছে পোশাকের সারফেস। কাজের ক্ষেত্রে প্রিন্ট এম্ব্রয়ডারি নানারকম বর্ডার বিডস ব্রোকেট লেদার রেকসিন, লেস কারচুপি ব্যবহার হয়েছে।
প্রচলিত মাধ্যমের নানা মাত্রিক ব্যবহার এ পোশাকগুলো নববর্ষের উত্সবের আমেজকে ফুটিয়ে তুলেছে রং, কাট ও উপস্থাপনার বৈচিত্র্যে। সালোয়ার-কামিজগুলো গরমে পরার উপযোগী, এলিগেন্ট এবং উত্সবমুখী।
মেয়েদের ফতুয়া-টপস
কে-ক্র্যাফটের বৈশাখী আয়োজনে উপস্থাপিত ফতুয়া ও টপসে দেখা যাবে কাটের বৈচিত্র্য, ফেব্রিক্স এ নিজস্ব উইভিং ডিজাইন। ভ্যালু এডিশন ও এক্সেসরিজ এ চমত্কারিত্ব। টপস ও ফতুয়ার ডিজাইনে হাতের কাজে শেডওয়ার্ক, কাঁথা কাজ, মানিকগঞ্জের ভরাট, এপলিকের কাজ করা হয়েছে। সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রংয়ে সিকোয়েন্স, বিডস ও হাজার বুটি করা হয়েছে। এ ছাড়া অনুষ্ঠান উপযোগী এন্ডি, জয় সিল্ক ও মসলিনে কাটে ভিন্নতা এনে এম্ব্রয়ডারি, মেশিন কাটওয়ার্ক ও কারচুপির কাজ করা হয়েছে। কে-ক্র্যাফটের নববর্ষে মেয়েদের ফতুয়া ও টপসের নানা অপশন রয়েছে। দামের ক্ষেত্রেও সব ক্রেতার কথা বিবেচনা করে যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। যারা উত্সবধর্মী গর্জিয়াস টপস/ফতুয়া পছন্দ করেন অথবা পরতে চান প্লেন, সিম্পল, এলিগেন্ট লুক তাদের সবার জন্য নানা রঙ, কাট ও বৈচিত্র্যে থাকছে টপস ও ফতুয়া।
শিশুদের জন্য আয়োজন
শিশুদের জন্য এই নববর্ষে কে-ক্র্যাফট করেছে বিশেষ আয়োজন। ২ বছর থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের জন্য থাকছে প্রায় ২৫টি নতুন ডিজাইনের পোশাক। শিশুদের সালোয়ার-কামিজ, মেয়েদের ফ্রক, স্কার্ট-টপস ও ফতুয়া থাকছে বিভিন্ন দামে; লাল, কমলা, হলুদসহ উজ্জ্বল নানা রংয়ে। এ পোশাকগুলো কটবেসডের পাশাপাশি এম্ব্রয়ডারি, সিকোয়েন্স, হাতের কাজ, প্রিন্টেড থাকছে। ছেলেদের থাকছে বৈশাখী ফতুয়া-প্যান্ট, শাট-প্যান্ট, টি-শার্ট ও পাঞ্জাবির কালেকশন। হাতের কাজ, এম্ব্রয়ডারি কাজ, প্রিন্ট ও নানা মাধ্যমের ব্যবহারে তৈরি পোশাকগুলো উত্সবমুখী, আরামদায়ক এবং কাট ও ফিনিসে উন্নত। আমাদের এই যান্ত্রিক পরিবেশে ফোক মোটিফ হারিয়ে যেতে বসেছে। তাই বাচ্চাদের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট সার্কেলের মাঝে আবদ্ধ করতে চেষ্টা করেছি। এই বৈশাখে পোশাকের মাঝে উপস্থাপিত হয়েছে। শিরোনাম বা ক্যাপসন হিসেবে ফোক আর্ট মোটিফ সিরিজ—পাখা, কলস, পাখি, ড্রাই ফিস, ঘণ্টা, হাতি, ঘোড়া, ময়ূর, ঘুড়ি, হাঁস, মোরগ ও টমটম গাড়ি।
এছাড়া একোয়া ফিস, চিলড্রেন পেইটিং, ফোক আর্ট, পেঁচা, ঘুড্ডি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ফতুয়া, টি-শার্ট, শর্ট পাঞ্জাবি অলঙ্কিত করা হয়েছে। মাধ্যম হিসেবে স্ক্রিনপ্রিন্ট, এম্ব্রয়ডারি শামুক, ঝিনুক ব্যবহার, হ্যান্ড এপলিক ও সুতার কাজ করা হয়েছে ।
নববর্ষের পাঞ্জাবি
নববর্ষে পাঞ্জাবির ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে কে-ক্র্যাফট। কাট, ফিনিসিং এক্সেসরিজের ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশেষ যন্ত নিয়ে পাঞ্জাবির ডিজাইন করা হয়েছে। সুতি, এন্ডি ও সিল্কে হাতের কাজ ও এম্ব্রয়ডারি কাজের পাঞ্জাবি থাকছে সাদা, মেরুন, ব্রিকরেড, কালোসহ নানা রংয়ে। প্রধানত জ্যামিতিক নকশায় কাঁথা, সাটিন স্টিচে অলঙ্কৃত এই কালেকশনটি সব বয়সী ক্রেতাকেই সন্তুষ্ট করতে পারবে। দামে থাকছে নানা রেঞ্জ। ফলে বাজেট উপযোগী পাঞ্জাবি পাবেন এখানে।
শর্ট পাঞ্জাবির বিশেষ অয়োজন থাকছে তরুণ মনের ক্রেতাদের জন্য। কাটে নতুনত্ব, উপস্থাপনায় বৈচিত্র্য, রংয়ের বিন্যাসে চমত্কারিত্ব শর্ট পাঞ্জাবিতে দেখা যাবে। লেন্থে কিছুটা খাটো, ভ্যালু অডিশনে পরিমিতি বোধ, কলার-স্লিভ এ পরীক্ষা-নিরীক্ষা থাকছে শার্ট পাঞ্জাবিতে। এবারের বৈশাখে ছেলেদের পোশাকে আনা হয়েছে নানা রকম ভিন্নতা, ইসলামিক প্লান্ট মোটিফ, আর্চ গ্রিক মোটিফ, ন্যাচার সিরিজ, টেক্সটাইল ডিজাইন, ল্যান্ডস্কেপ, ফ্লাওয়ার মোটিভ, ছেলেবেলা সিরিজ, জীবনের হিসাব-নিকাশ, আনন্দ বেদনার টানপড়েন সিরিজ। মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে জিপার এম্ব্রয়ডারি, বিডস, পুঁতি, কারচুপি, স্ক্রিনপ্রিন্ট, হাতের কাজ, ভিন্ন লেআউটে প্যাচ ওয়ার্ক রেক্সিন, মেটাল ইত্যাদি। এছাড়া বুনন ও নকশায় শর্ট পাঞ্জাবিতে ব্যবহৃত উপকরণে থাকছে এক্সক্লুসিভিটি।
ছেলেদের ফতুয়া ও শার্ট
প্রধানত তরুণ মনের মানুষের কথা চিন্তা করে ডিজাইন করা ফতুয়ার কালেকশনটিতে ফেব্রিকের নানা ভ্যারিয়েশন থাকছে। স্ট্রাইপ, চেক, ইক্কাত, সলিড, জ্যাকার্ড ও ডবি বুননের ফতুয়াগুলো কাট ও ফিনিশে উন্নত। কাট বেসড ফতুয়ার পাশাপাশি ভ্যালু অডিশন হিসেবে এসেছে হাতের কাজ, এম্ব্রয়ডারি, প্রিন্ট, ইরি কাজসহ নানা মিডিয়া। এছাড়াও কে-ক্র্যাফটে থাকছে স্ট্রাইপ, চেক শার্ট, প্রিন্ট শার্ট। প্রিন্টের শার্টে ব্যবহৃত হয়েছে জ্যামিতিক মোটিফ। ফতুয়া, শার্ট ও টি-শার্টে মোটিফ হিসেবে প্রাধান্য পেয়েছে টেরাকোটা মোটিফ ও লোকজ নানা মোটিফ।
কে-ক্র্যাফটের সব আউটলেটে বৈশাখী প্রদর্শনী চলছে। কে-ক্র্যাফটের আউটলেটের অবস্থান বনানী ১১ নম্বর রোড, নিউবেইলি রোড সরণি, রাইফেলস স্কয়ার, প্লাজা এ আর, সোবহানবাগ, মালিবাগ মৌচাকের কাছে, মিরপুর-২ স্টেডিয়ামের বিপরীতে, বনানী কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ, বসুন্ধরা সিটি লেভেল-২, দেশী দশ বসুন্ধরা সিটি লেভেল-৭, উত্তরা টাওয়ার, উত্তরা সেক্টর ৩, আজিজ সুপার মার্কেট, শাহবাগ ও চট্টগ্রাম দেশী দশ-এ। এছাড়া বৈশাখী আয়োজন দেখে নেয়া যাবে ওয়েবসাইটে।

ফ্যাশনের পাশাপাশি রোদ থেকে বাঁচতে সানগ্লাস

সানগ্লাস আমাদের ১২ মাস ফ্যাশনের একটি অংশ। সানগ্লাস ব্যবহারকারী তরুণ-তরুণীরা গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীত—সব ঋতুতে সানগ্লাস ব্যবহার করতে পছন্দ করে। কিন্তু চৈত্র থেকে জৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত সানগ্লাসের ব্যবহার ও বিক্রি বেশি লক্ষ্য করা যায়। সানগ্লাস চৈত্রের প্রচণ্ড রোদে চোখের পোশাকের কাজ করে। আমাদের দেহের পোশাক যেমন দেহকে সুরক্ষা করে, তেমনি সানগ্লাস ও আমাদের চোখকে সুরক্ষা করে। রাস্তার ধুলাবালি, পোকা-মাকড় ও সূর্যের ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মি থেকে চোখকে রক্ষা করে।
আমাদের দেশের মোটরসাইকেল আহরণকারী তরুণদের জন্য সানগ্লাস খুব প্রয়োজন। কারণ মোটরসাইকেল চলন্ত অবস্থায় বাতাসে ধুলাবালি এবং পোকা-মাকড় আমাদের চোখে এসে পড়তে পারে। এসব ধুলাবালি ও পোকামাকড় থেকে রক্ষা করে সানগ্লাস।
সানগ্লাস চোখের পোশাকের পাশাপাশি চোখের পাহারাদার হিসেবে কাজ করে।
কারণ সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি যা আমাদের চোখের কর্ণিয়া এবং রেটিনার ক্ষতি করতে পারে।
এ ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মিকে সানগ্লাস আমাদের চোখে পৌঁছতে দেয় না এবং প্রতিহত করে। বেলা ১১ থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সূর্যের আলোর তীব্রতা বেশি থাকে, তাই এ সময় সানগ্লাস ব্যবহার করা উচিত। বিশেষ করে আমাদের দেশের তরুণ-তরুণীরা সানগ্লাস পছন্দ করে। আর তারা তাদের চেহারার মানানসই সানগ্লাস বেছে নিতে অবহেলা করে না। আমাদের দেশের ইয়াং জেনারেশন তাদের ড্রেসের সঙ্গে মানানসই একেক রকম সানগ্লাসের স্টক করে। ইয়াং জেনারেশনের পাশাপাশি ত্রিশোর্ধ্ব নারী-পুরুষও সানগ্লাস পছন্দ করেন। ত্রিশোর্ধ্ব লোকের সানগ্লাস পছন্দটা একটু ভিন্ন, তারা জোর দেন আরাম এবং স্টাইলের ওপর। এ শ্রেণীর লোকরা কালো, নীল, ব্রাউন কপি রংয়ের সানগ্লাস বেশি পছন্দ করেন। সানগ্লাস কেনার আগে কিছু বিষয়ের দিকে লক্ষ্য করবেন—প্রথমে নজর দেবেন ফ্রেমের দিকে, যা আপনার চেহারায় ঠিকমত বসল কি-না। ফ্রেম কেনার সময় আপনার মুখের আকার দেখে ফ্রেম কিনুন। প্রয়োজনে আয়না ব্যবহার করুন। সানগ্লাসের গ্লাস সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ গ্লাস আপনাকে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ও ধুলাবালি থেকে রক্ষা করবে। বাজারে নানা রং-বেরংয়ের সানগ্লাস পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে ধূসর, কালো, সোনালি, বাদামি, হলুদসহ নানা রং। তবে কালো গ্লাসের সানগ্লাস আপনার চোখের জন্য বেশি উপযোগী।
দাম কেমন
কয়েকটি বিখ্যাত ব্র্যান্ডের সানগ্লাস হচ্ছে—আরমানি, পুলিশ, ডিএনজি, রে বন, ওকলে, প্যারাডা ইত্যাদি। রে বন ব্র্যান্ডের সানগ্লাস পাবেন ৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে, গুচ্ছি পাবেন ৩ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকায়।
সাধারণত নর্মাল ব্র্যান্ডের সানগ্লাস পাবেন ৮০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। সস্তা সানগ্লাসগুলো আপনার চোখের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই সানগ্লাস কেনার সময় একবার হলেও চোখের কথা চিন্তা করবেন। চোখ মানুষের অমূল্য সম্পদ।
কোথায় পাবেন
আপনার পছন্দ অনুযায়ী এবং বাজেটের মধ্যে সানগ্লাস কোথায় পাবেন বসুন্ধরা শপিংমল, ইস্টার্ন প্লাজা, নিউমার্কেটসহ শহরের বড় বড় মার্কেট ও দোকানগুলোয় এবং কম দামের সানগ্লাস পেতে পারেন ফুটপাতে।
তরুণদের ফ্যাশনের ক্ষেত্রে সানগ্লাস খুব পছন্দের। আর ত্রিশোর্ধ্ব বয়সের লোকরা জোর দেন আরাম ও স্টাইলের ওপর অর্থাত্ রুচিসম্মত সানগ্লাসের ওপর। অমূল্য সম্পদ চোখের যত্ন নিতে আমরা ভালো ব্রান্ডের সানগ্লাস ব্যবহার করি, রুচি ও ফ্যাশন ফুটিয়ে তুলি সচেতনতার মাধ্যমে।

সৌন্দর্য প্রকাশে চোখের গুরুত্ব

চোখের আকারের ওপর নির্ভর করে আপনার চোখের সাজ। আপনার চোখ যদি হয় কিছুটা কোটরের ভেতর ঢোকানো, তবে আইশ্যাডো হওয়া চাই হালকা। চোখের পাতা ও ভেতরের দিকে হালকা আইশ্যাডো দিন। একটু গাঢ় আইশ্যাডো লাগান পাতার ওপরে, ভ্রুর নিচে। মাঝারি রং থেকে আরও একটু গাঢ় রংয়ের আইশ্যাডো লাগান চোখের বাইরের কোণে, একটু বাইরের দিকে টেনে। ভ্রুর নিচে একদম হালকা রংয়ের আইশ্যাডো দিয়ে হাইলাইট করুন। আর ভ্রু যেখানে শেষ হয়, সেই লাইনটাতে খুব সরু করে সাদা আইশ্যাডো লাগান। এবার চিকন আইলাইনার বা কাজল চোখের ওপরের পাতায় নিয়ে বাইরের কোণ পর্যন্ত টেনে দিন। নিচের পাতায় চাইলে খুব সরু করে কাজল নিতে পারেন। নিচের পাতায় কাজল না দিয়ে শুধু মাশকারা লাগিয়ে নিতে পারেন। চোখের ওপরের পাপড়িতেও মাশকারা দিতে পারেন। এতে আপনার চোখ বড় ও সজীব দেখাবে।
এ ধরনের চোখের পাতায় ও কোটরের ওপরের অংশজুড়ে খুব গাঢ় আইশ্যাডো লাগাবেন না। এতে চোখ আরও ভেতরের দিকে মনে হবে।
দুই চোখের মাঝে দূরত্ব যদি একটু বেশি হয়, তবে চোখের সাজ হওয়া উচিত এমন যাতে চোখ দুটি কাছাকাছি দেখায়। চোখের পাতার মধ্যভাগ থেকে ভেতরের অংশ পর্যন্ত একটু হালকা রংয়ের আইশ্যাডো দিন। চোখের মধ্যভাগ থেকে বাইরের দিকের অংশে একটু গাঢ় রংয়ের আইশ্যাডো দিন। এই দুই শেড চোখে ব্লেন্ড করে নিন। টেনে কাজল বা আইলাইনার দিন চোখের ভেতরের দিকের অংশে। চোখের ভেতরের অংশে ওপরে ও নিচে হালকা করে মিলিয়ে নিয়ে চোখ আঁকতে পারেন।
আপনার দুই চোখের মাঝে দূরত্ব যদি কম হয়, তবে চোখের পাতার ভেতরের অংশে হালকা আইশ্যাডো দিন মাঝ বরাবর। এবার মধ্যাংশ থেকে বাইরের দিকে গাঢ় রংয়ের আইশ্যাডো দিন। দুটো রং ভালো করে মিলিয়ে দিন চোখের ওপরে। গাঢ় রংয়ের আইশ্যাডো চোখের কোণের বাইরে টেনে দিয়ে নিচের অংশের মাঝ বরাবর দিতে পারেন। আইলাইনার বা কাজল চোখের ভেতরের অংশ থেকে চোখের কোণের বাইরে পর্যন্ত টেনে দিন। বাইরের অংশটিতে একটু গাঢ় বা মোটা করে, একটু ওপরের দিকে টেনে দিতে পারেন। এভাবে আপনার চোখ টানা-টানা ও সুন্দর দেখাবে।
আপনার চোখের আকার যদি হয় নিচের দিকে নামানো, তবে আইশ্যাডো ওপরে এবং বাইরের দিকে টেনে দিতে হবে। চোখের ভেতরের অংশে হালকা ও বাইরের কোণ থেকে নিয়ে মধ্যভাগ পর্যন্ত গাঢ় আইশ্যাডো দিন। খেয়াল রাখবেন ওপরের অংশের গাঢ় আইশ্যাডো যেন টেনে নিচে নামিয়ে না আনা হয়। এবার চোখের ভেতরের অংশ থেকে আইলাইনার বা কাজল টেনে বাইরের অংশ পর্যন্ত দিয়ে একটু ওপরের দিকে ছড়িয়ে দিন। মধ্যভাগ থেকে বাইরের কোণ পর্যন্ত একটু মোটা করে নিন আপনার কাজল। চোখের নিচের পাতায় হালকা কাজল দিয়ে বাইরের কোণটি ওপরের কোণের সঙ্গে একটু ওপরে টেনে মিলিয়ে নিন। চোখের ওপরের পাতার পাপড়িতে ঘন করে মাশকারা লাগিয়ে নিন।
আপনার চোখ যদি চিকন ধরনের হয়, তবে চোখের পাতার ভেতরের অংশে একটু হালকা শ্যাডো দিন। বাইরের অংশে গাঢ় শেড দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। আইলাইনার বা কাজল চোখে খুব একটা টেনে দেয়ার দরকার নেই। এতে চোখ আরও লম্বা দেখাবে। হালকা লাইনার বা কাজল অথবা এর বদলে কালো আইশ্যাডো দিয়ে ঘন করে মাশকারা নিতে পারেন।
যাদের চোখ একটু ফোলা ধরনের, তারা চোখের পাতার ভেতরের অংশে হালকা, চোখের কোণ ও কোটরের ওপর গাঢ় আইশ্যাডো দিয়ে চোখের ফোলা ভাব কমাতে পারেন। মোটা করে কাজল বা আইলাইনারও লাগিয়ে চোখের ফোলা ভাব কমানো যায়। যাদের চোখের কোণ ফোলা থাকে, তারা ওপরের ও নিচের পাতায় গাঢ় করে কাজল বা আইলাইনার টেনে একটু মোটা করে লাগাতে পারেন। আপনার চোখ যদি হয় গোলাকৃতির, তবে চোখের পাতার ভেতরের অংশে হালকা ও বাইরের অংশে গাঢ় আইশ্যাডো লাগিয়ে নিন।
কাজল বা আইলাইনার চোখের ভেতরের কোণে হালকা করে লাগিয়ে বাইরের কোণ পর্যন্ত চিকন করে টেনে লাগান। বাইরের কোণে কাজল একটু মোটা বা ঊর্ধ্বমুখী করতে পারেন। চোখের নিচের পাতার কোণের সঙ্গে কাজল টেনে ওপরের অংশের সঙ্গে মিলিয়ে দিন।
আইশ্যাডো ব্যবহার করতে না চাইলে মুখে হালকা ফেস পাওডার দিয়ে চোখে শুধু কাজল দিয়েও হয়ে উঠতে পারেন নজরকাড়া সুন্দরী। প্রসাধনীতে সুরমার প্রচলন এখনও আছে। টেনে সুরমা দিলে চোখ টানা টানা লাগে। আবার হালকা করে চোখের ওপরের পাতায় কাজলের সঙ্গে মাশকারা লাগাতে পারেন।
চোখ যদি মাঝারি আকারের হয়, তবে আইলাইনার বা কাজল চোখের ভেতরের কোণ থেকে টেনে নিয়ে বাইরের কোণ পর্যন্ত লাগান। ভেতরের দিকে ওপরের ও নিচের পাতায় কাজল দিয়ে চোখ টেনে একে নিন। আবার বাইরের কোণেও একটু বাড়িয়ে ওপর দিকে কাজল দিন। চোখের নিচের পাতার মাঝ থেকে বাইরের অংশ পর্যন্ত একটু মোটা করে ওপর দিকে টেনে কাজল দিন। এতে চোখ টানা টানা ও ভাসা ভাসা লাগবে।
আজকাল চোখের সঙ্গে স্মোকি আইস বা কালো ধরনের মেকআপ খুব প্রচলিত। এতে প্রথমে চোখের পাতায় একটি বেজ লাগিয়ে নিন। হালকা বাদামি রংয়ের শেড দিন বাইরের কোণ থেকে চোখের কোটরের ওপর দিয়ে ভেতর পর্যন্ত। একটু কালো বা গাঢ় বাদামি রংয়ের শ্যাডো লাগান চোখের পাতার বাইরের কোণ থেকে ভেতরে চোখের কোটরের লাইন বরাবর। আইলাইনার বা কাজল লাগান গাঢ় করে, চোখের পাতার ভেতরের অংশ থেকে বাইরের অংশ পর্যন্ত। নিচের পাতায় কাজল দিন। কাজলের বদলে আইশ্যাডো দিতে পারেন। ভ্রুর নিচে একটু হালকা সোনালি আইশ্যাডো দিন।
চোখে ভাসা ভাসা একটা ভাব আনতে চোখের ওপর-নিচের পাতায় কাজল দিন। এবার আঙুল দিয়ে চোখের ওপরের পাতার কাজল একটু ওপরের দিকে ঘষে মিশিয়ে দিন।
চোখের সাজ আরও আকর্ষণীয় করতে আপনার ত্বকের সঙ্গে মানানসই বিভিন্ন রংয়ের লেন্স পরতে পারেন। চোখের সাজ আপনার পোশাকের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া চাই। ভ্রুর ক্ষেত্রে কাজল ব্যবহার না করে, বাদামি ভ্রু পেনসিল বা বাদামি আইশ্যাডো ব্যবহার করুন। এ ছাড়া চোখ আরও দৃষ্টিনন্দন করতে ব্যবহার করতে পারেন আলগা আইল্যাশ। আপনার চোখ ও মন বুঝে নিতে পারেন একেক ধরনের সাজ। কখনও চিকন, কখনও বা ষাটের দশকের নায়িকাদের মতো টেনে কাজল দিয়ে আপনি হয়ে উঠতে পারেন দৃষ্টিনন্দিত।

খাটো চুলের কাটছাঁট

বসন্ত এখনো যায়নি। কিন্তু গরমের আঁচ ঠিকই পাওয়া যাচ্ছে। গরমের সঙ্গে সঙ্গে চুলের কাটছাঁটেও চলে এসেছে পরিবর্তন। যাঁরা খাটো চুল রাখতে চান, তাঁদের জন্য চুল কীভাবে কাটা হচ্ছে, তা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। মানানসই কাট চাই। এই গরমে নতুন কিছু চুলের কাটের হদিস দিলেন রূপ বিশেষঞ্জ তানজিমা শারমিন।
চেহারায় নতুনত্ব চাই। নতুন লুক আনার এই ইচ্ছাটি পূরণ করতে সুন্দর চুলের একটি কাটই যথেষ্ট। তবে যে স্টাইলেই চুল কাটান না কেন, আপনার সঙ্গে মানানসই না হলে সব চেষ্টা বৃথা। চুল কাটার সবচেয়ে বড় শর্তই হচ্ছে এটি। আপনার জীবনযাপন, ব্যক্তিত্ব, চেহারা এবং সামলানোর ক্ষমতার সঙ্গে তাল মিলিয়েই চুল কাটা উচিত। ‘অনেকে চুল কপালের ওপর রাখতে পছন্দ করে, অনেকে করে না। কেউ বা বড় চায়, অন্যরা ছোট চুলেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। অন্যজনেরটা দেখে নয়, বরং যেটা আপনার চেহারায় ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তুলবে সেভাবেই কাটা উচিত।’ বললেন তানজিমা শারমিন।

ছোট চুলের ঠাটবাট ব্ল্যাংক কাট
কমবয়সী মেয়েদের জন্য এ কাটটি মানানসই। ঢেউ খেলানো অথবা সোজা চুলের সৌন্দর্য বাড়াবে এটি। ওভাল, গোলাকার এবং চারকোনা চেহারায় ভালো লাগবে এ কাটটি। তবে লম্বা চেহারায়ও মন্দ লাগবে না। সে ক্ষেত্রে চুল একটু বেশি লম্বা হলে ভালো।

সামার কাট
পেছনে ছোট রেখে সামনের দিকে একটু বড় রাখার স্টাইলটি সামার কাট। গোলাকার চেহারা, স্বাস্থ্য একটু ভালো এবং সোজা চুলের অধিকারীদের বেশ মানাবে কাটটি। তবে চুল যদি হয় রিবন্ডিং করা, তাহলে এ কাটের দিকে না যাওয়াই ভালো।

পিক্সি কাট
চুলগুলো খুব একটা গুছিয়ে রাখতে পছন্দ করেন না অনেকেই। তাদের জন্য পিক্সি কাট। ঘাড় পর্যন্ত চুল রেখে সামনের দিকে কপাল ঢেকে রাখবে এটি। কানের দুই পাশ দিয়েও থাকবে ছন্দময় কাট। টিন-এজারদের জন্য কাটটি বেশি মানানসই। পাশ্চাত্য পোশাক এবং শাড়ির সঙ্গে দেখতে ভালো লাগবে। যাদের উচ্চতা পাঁচ ফুট চার ইঞ্চির বেশি, তারা এ কাটটিতে না গেলেই ভালো। ঢেউ খেলানো চুলে মানাবে ভালো।

বব কাট/ক্লাসিক বব কাট
টিন-এজারদের বব কাটটি ভালো মানাবে। সব ধরনের চেহারার সঙ্গেই যাবে এটি। একটু বয়স্কদের জন্য ক্লাসিক বব কাট বেশি মানানসই। এ ছাড়া যাদের চেহারা লম্বাটে ধাঁচের, তাদের জন্যও কাটটি মানানসই।

মাঝারি কাটের সৌন্দর্য শ্যাগি
পিক্সি কাটের আকারেই কাটা হবে এটি। তবে লম্বায় কিছুটা বড় থাকবে। ঢেউ খেলানো এবং সোজা চুলে ভালো লাগবে। এ কাট সব ধরনের চেহারার সঙ্গেই ভালো লাগবে।

ইমো কাট
ফাংকি ফ্যাশনেবল স্টাইল—ইমো কাটকে এভাবেও বলা যায়। টিন-এজ মেয়েদের জন্য এটি বেশি মানানসই। ওপরের দিকের চুল ছোট করে কাটা থাকবে। একটি চোখ প্রায় পুরোটাই ঢাকা থাকবে ব্যাংগস করে কাটা চুলের নিচে। পেছনের চুলে অনেক বেশি লেয়ার থাকবে। সোজা এবং ঢেউ খেলানো চুলে বেশ ভালো লাগবে এটি। ইমো কাটের সঙ্গে মোটা করে কাজল লাগালে দেখতে সুন্দর লাগবে বলে জানান তানজিমা শারমিন। ইমো কাটে পেছনের চুল অন্তত ঘাড় পর্যন্ত যেন থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখুন।

কোঁকড়া চুলের মোহনীয়তা
কোঁকড়া চুলের সৌন্দর্যই অন্য রকম। এ চুলের অধিকারীরা চুল নিয়ে খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করলেই ভালো। স্টে লেয়ার কাটে থাকলেই দেখতে বেশি ভালো লাগবে। সেটা যেকোনো চেহারার সঙ্গেই মানিয়ে যাবে। তবে চেহারাবিশেষে চুল একটু ছোট-বড় হবে।
যাদের চেহারা ও গলাও লম্বা, তারা অন্তত ঘাড় পর্যন্ত চুলের কাটটি রাখুন। লম্বা ও একটু ভরাট চেহারায় একটু ছোট কাট রাখুন। গোল চেহারায় ঘাড় থেকে শুরু করে যতটা ইচ্ছা নিচ পর্যন্ত রাখতে পারবেন। গোল চেহারা এবং উচ্চতায় ছোট যারা, তাদের ছোট স্টেপ ভালো লাগবে।
ব্যাংগসের জাদু
ওভাল চেহারায় ব্যাংগস মানানসই। উচ্চতায় ছোট যারা, তারা একটু ছোট করে, আর যারা লম্বা তারা একটু লম্বা রাখতে পারে। ব্যাংগস বিভিন্নভাবে কাটা যায়। সাইড ব্যাংগস, সোজা ব্যাংগস, ছোট ব্যাংগস, বড় ব্যাংগস, পুরো কপাল ঢেকে রাখার ব্যাংগস।

স্কুলপড়ুয়াদের উদ্দেশে
তানজিমা শারমীন জানান, স্কুলপড়ুয়া মেয়েদের উচিত যতটা সম্ভব সাধারণভাবে চুল কাটা। লেয়ার, ব্যাংগস, স্টেপ যতটা সম্ভব কম করতে হবে। এতে করে টিন-এজ লুকটি বজায় থাকবে।
এই গরমে চুলের যত্ন নিন বিশেষভাবে। তৈলাক্ত খাবার কম খাবেন। পানি, সবজি, ফল বেশি করে খান। প্রয়োজন হলে প্রতিদিন শ্যাম্পু করুন। চুল পরিষ্কার রাখতে হবে ঠিকমতো। তিন-চার মাস পরপর শ্যাম্পু বদলে ফেলুন।

মশারিটা জরুরি

এ সময় বাড়ছে মশার প্রকোপ। মশার হাত থেকে বাঁচতে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করা উচিত।তবে যেমন-তেমন একটি মশারি কিনলেই তো চলে না। বর্ণিল আর নানা ডিজাইনের বদলে যাঁরা হালকা রং আর সাদামাটা ধরনের মশারি খোঁজেন, তাঁরা কিনে কিংবা বানিয়ে নিতে পারেন।
মশারি কিনতে বা বানিয়ে নিতে পারবেন ঢাকার নীলক্ষেতের বেডিংয়ের দোকানগুলো থেকে। নীলক্ষেতে অবস্থিত দুবাই বেডিং স্টোরের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ হানিফ বলেন, ‘বানানো মশারি সিঙ্গেল, সেমিডবল, ডবল ও কিং—এই চার আকারের বিছানার জন্য। এর মধ্যে আবার দুই মানের মশারি রয়েছে। সিঙ্গেল সাধারণ মানের মশারি ১৫০ আর অপেক্ষাকৃত উন্নতমানেরটির দাম ২৮০ টাকা। সেমিডবল মশারি ১৮০ থেকে ৩০০ টাকা। ডবল মশারি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। কিং আকারের মশারি ২৮০ থেকে ৩৮০ টাকা। তবে মশারির মান নির্ভর করে কাপড় আর সেলাইটা কেমন, তার ওপর।
যাঁরা তৈরি (রেডিমেড) মশারি ব্যবহার করতে চান না, তাঁরা চাইলে কাপড় কিনে মশারি বানিয়ে নিতে পারেন। নীলক্ষেতের সোবহান বেডিং স্টোরের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মাদ হারুন বলেন, ডবল মশারি বানাতে কাপড় লাগে ১৩ গজ। সিঙ্গেল মশারি বানাতে লাগে ১০ গজ। প্রতি গজ কাপড় কেনা যাবে ২২ থেকে ৩৫ টাকায়। আর দর্জির মজুরি পড়বে ১০০ টাকা। তৈরি মশারি কিংবা কাপড় কিনতে পারবেন নীলক্ষেত, গুলিস্তানের বঙ্গমার্কেট, নিউমার্কেট ও ইসলামপুর থেকে।
মশার হাত থেকে ছোট্ট সোনামণিকে সুরক্ষিত রাখার কথাও তো ভাবতে হবে। নিউমার্কেটে অবস্থিত শিশুপণ্যের দোকান রবিনসন্সের মালিক মোহাম্মাদ নাইম বলেন, ছোট্টমণির জন্য নানা আকার আর ডিজাইনের মশারি পাওয়া যায়। কোনোটা লোহার ছয় শিকের সঙ্গে নেট পেঁচানো, যার দাম ১৫০ টাকা। কোনোটা চেইন দিয়ে ঘরের মতো করে তৈরি, এর নাম স্প্রিং। দাম পড়বে ৩০০ থেকে এক হাজার টাকা। ছাতার মতো খুলে কিছু মশারি ব্যবহার করা যায়, দাম ৩০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা।

বৈশাখে পোশাকের আয়োজন

বাংলা নববর্ষ উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। ফ্যাশন হাউসগুলোও সেজে উঠছে বৈশাখী রঙে, বৈশাখীঢঙে। তারই কিছু নমুনা থাকছে এখানে

অ্যান্ডেজ
‘রবি রাগ’ বৈশাখ উপলক্ষে ফ্যাশন হাউস অ্যান্ডেজের নতুন সংযোজন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রোমান্টিক কাব্যের ছোঁয়া পাওয়া যাবে এতে। সাদা জামদানির ওপর প্রাধান্য পেয়েছে লাল ও কালো রঙের কাজ। ছেলেদের পোশাকে লাল, সাদা ও কালো খাদির শেরওয়ানির সঙ্গে মিলিয়ে তৈরি করা হয়েছে সাদা চুড়িদার। শিশুদের জন্যও থাকছে বিশেষ বৈশাখী আয়োজন।

রঙ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশত জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে এবারের বৈশাখে ফ্যাশন হাউস রঙের পোশাকে আনা হয়েছে রাবীন্দ্রিক সাজ। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, টুপি, ব্যাগ, কোটি, গয়না, টি-শার্ট ইত্যাদি পোশাকে প্রাসঙ্গিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর সেই সময়কে। বৈশাখে প্রিয়জনকে উপহার দেওয়ার জন্য ৫০০ থেকে ৫০০০ টাকার মধ্যে কেনা যাবে এসব পণ্য।


অঞ্জন’স
অঞ্জন’স এনেছে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ ওড়না, ফতুয়া, পাঞ্জাবি, শার্টসহ শিশু-কিশোরদের পোশাক। বিভিন্ন ডিজাইনের গহনা পাওয়া যাবে এই আয়োজনে।

নগরদোলা
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নকশিকাঁথার নকশায় পোশাক সাজিয়েছে নগরদোলা।
কাপড় হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে সুতি, তাঁত, ভয়েল, খাদি, মসলিন, এনডি হাফ সিল্ক প্রভৃতি। পাওয়া যাবে শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, পাঞ্জাবি, ছেলেদের ফতুয়া, মেয়েদের ফতুয়া, স্কার্ট, টপস, শার্ট, পাঞ্জাবি, বাচ্চাদের শাড়ি, পাঞ্জাবি, ফতুয়া।

শৈশব
নতুন বছরে শিশুদের জন্য ব্লাউজপিসসহ বৈশাখী শাড়ি, কামিজ, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, স্কার্ট-টপ, টি-শার্ট, ফ্রক, ধূতি পাঞ্জাবি সেট এনেছে ফ্যাশন হাউস শৈশব।

কে ক্র্যাফট
বৈশাখে কে ক্র্যাফট তাঁতে বোনা সুতি কাপড়ে টুটন স্ট্রাইপ, টুইল, গুড়িচেক, নাচনাকাঠি, কাঁথা, ডবি ও জ্যাকার্ড স্টাইলে সালোয়ার-কামিজ এনেছে।রং হিসেবে ব্যবহূত হয়েছে কোড়া, সাদা, লাল, মেরুন, ইটলাল, কমলা। পোশাকে আছে এমব্রয়ডারি, স্ক্রিন ও ব্লক প্রিন্ট, কাঁথা ফোঁড়, কারচুপি, টাই-ডাই ইত্যাদির কাজ।

জলে ভাসা পুষ্প

কয়েকটি ফুলের পাপড়ি। ঘরের এক কোনায় এর উপস্থিতিতেই চলে আসতে পারে স্নিগ্ধতা। নাই বা থাকল বাহারি ফুলদানি আর ফুলের তোড়া। পছন্দসই একটি পাত্রে ছড়িয়ে দিন কয়েকটি ফুলের পাপড়ি। এর সঙ্গে যদি রাখেন ভাসমান মোমবাতি, তাতেই ঘরে তৈরি হবে অন্য রকম মুগ্ধতার আবেশ।
পাত্রে পানির ওপর ছিটানো ফুলের পাপড়ি। স্পা-তে এ রকম পরিবেশন দেখা যায়। চারপাশে একটা সতেজ ভাব আনতেই এমন করা হয়। সেটাই এখন দেখা যাচ্ছে ঘর সাজানোতেও। হারমনি স্পার স্বত্বাধিকারী ও রূপ বিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা বলেন, ‘মূলত স্পাতেই ফুলের পাপড়ি এভাবে পানির ওপর ছড়িয়ে ব্যবহার করা হয়। তবে বাইরে বড় হোটেলগুলোতেও পাত্রে পানি ও ফুলের পাপড়ি দিয়ে সাজানো হয়। ভালো লাগা থেকেই এ রীতি এখন অনেকে বাসায়ও নিয়ে এসেছেন।’

ফুল না ফুলের পাপড়ি
শখ করে কেনা গোলাপের গুচ্ছ থেকে দু-একটি ফুল ছোট হয়ে ভেঙে যেতেই পারে। সেই পাপড়িগুলোই ছড়িয়ে দিন না একটি পাত্রে, পানির ওপর। ফুলের পাপড়ি দিতে না চাইলে কয়েকটি ফুলই না হয় রেখে দিন আলতো করে। ফুলগুলো ছড়িয়ে রাখা হলে দেখতে বেশি ভালো লাগবে।
ফ্যাশন ডিজাইনার শৈবাল সাহা প্রায়ই এভাবে নিজের বাড়ির ঘর সাজিয়ে থাকেন। তিনি বলেন, ‘যান্ত্রিক যুগে ফুলের এ ধরনের পরিবেশনা মনটাকে সতেজ করে।আর ঘরের শোভা তো বাড়িয়ে দেয়ই। চোখে প্রশান্তি দেয়। তবে ঋতুভিত্তিক ফুল ব্যবহার করলে আরও ভালো লাগবে দেখতে।’

পাত্র নির্বাচন
ফুল রাখার এ পাত্রটি তেমন দামি বা জমকালো হওয়ার প্রয়োজন নেই। আকারে বড় ও ছড়ানো হলেই ভালো। পাত্রটি কখনো চ্যাপ্টা, কখনো গোল আবার কখনো বা লম্বা হতে পারে। মাটির তৈরি কালো চাড়ির ভেতর অথবা মালসার আকারে তৈরি ছোট পাত্রেও পরিবেশন করা যেতে পারে। লাল, কালো, সোনালি ইত্যাদি রঙের হতে পারে এগুলো। অন্দর সাজের কাজ করে এমন একটি প্রতিষ্ঠান রেডিয়েন্ট ইনস্টিটিউট অব ডিজাইনের পরিচালক গুলশান নাসরিন চৌধুরী বলেন, ‘বিভিন্ন জ্যামিতিক আকারে তৈরি পাত্রগুলো এমনিতেই দেখতে ভালো লাগে। এ ধরনের পাত্রে ফুল রাখলে যোগ হয় আলাদা সৌন্দর্য। এ পদ্ধতিতে ফুল পরিবেশন অনেকটাই সহজ।’

পাত্রে পানির পরিমাণ
পাত্রের আকার ও আকৃতির ওপর নির্ভর করে পানি দিতে হবে। বড় পাত্রে অল্প পানি বা ছোট পাত্রে বেশি পানি দিলে হবে না। গুলশান নাসরিন চৌধুরী জানান, পাত্রের আকারের তিন ভাগের এক ভাগ পানি দিতে হবে। এর ওপর পাপড়ি ছিটালে সেটা যেকোনো জায়গা থেকেই দেখা যাবে। দূরে দাঁড়িয়ে থাকলেও যেমন দেখা যাবে, আবার বসে থাকলেও সেটা দেখা যাবে। পানি অবশ্যই প্রতিদিন বদলে দিতে হবে।

ঘরের সাজের সঙ্গে মিলিয়ে
‘অন্দর সাজের ওপর নির্ভর করবে কেমন পাত্র নির্বাচন করবেন আপনি। অন্যান্য আসবাবের সঙ্গে মিলিয়ে নিলেই দেখতে বেশি ভালো লাগবে—জানান শৈবাল সাহা। এভাবে আপনি বেছে নিতে পারেন ক্রিস্টালের কোনো পাত্র অথবা মাটির কালো রঙের চাড়ি। তবে দরজার বাইরে রাখতে চাইলে সে ক্ষেত্রে মাটির পাত্র নির্বাচন ভালো হবে বলে জানান গুলশান নাসরিন চৌধুরী। এ ছাড়া কাঁসার পাত্রও মন্দ লাগবে না দেখতে।
ঘরের কোন জায়গায় রাখবেন, সেটাও বাকি সাজের ওপরই নির্ভর করবে। পাত্রে ভাসমান মোমবাতি দিলে এক কোনায় রাখা যেতে পারে। এর ওপর যদি স্পট লাইটের আলো পড়ে, তাহলে তো কথাই নেই। তবে কোনার কোনো জায়গায় রাখতে না পারলেও সমস্যা নেই। সেন্টার টেবিলের মধ্যে রেখে দিন। পাত্রের আকার একটু ছোট হলে ভালো হবে এ ক্ষেত্রে।

যত্নে থাকুক ফ্রিজ ও ওভেন

গরমকালে খাবার নষ্ট হয় দ্রুত। তাই গরমে খাবার সংরক্ষণে ফ্রিজের তুলনা নেই। আবার ফ্রিজের খাবার ঝটপট গরম করে নিতে সুগৃহিণীর পছন্দ মাইক্রোওয়েভ ওভেন। কিন্তু ফ্রিজ এবং ওভেনের যত্ন না নিলে হয়ে যাবে হিতে বিপরীত, নষ্ট হয়ে যাবে খাবার। তাই কীভাবে ফ্রিজ ও ওভেন পরিষ্কার রাখবেন, তার কিছু টিপস নিয়েই এই আয়োজন।

ফ্রিজ হওয়া চাই শুষ্ক
রান্নাবিদ রাহিমা সুলতানা মনে করেন, ‘শহুরে জীবনে গরমকালে পেটের সমস্যা বেড়ে যাওয়ার একটি প্রধান কারণ অপরিষ্কার ও অস্বাস্থ্যকর ফ্রিজ। ব্যস্ত গৃহিণীরা আজকাল সপ্তাহ খানেকের খাবার একসঙ্গে রান্না করে ফ্রিজে রেখে দেন। তাঁরা জানেন না, এই খাবার দুই দিনের মাথায় নষ্ট হয়ে যায়। জন্ম নেয় ব্যাকটোরিয়া। কিন্তু একটি পরিষ্কার ফ্রিজ এই ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে অনেকখানি। কীভাবে ফ্রিজ পরিষ্কার রাখবেন, তার কিছু টিপস রইল আপনার জন্য।
 প্রথমেই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণকারী নবটি বন্ধ করে নিন। ফ্রিজের পানি জমে যে ট্রেতে, সেটিও বের করে পানি সরিয়ে নিন।
 ফ্রিজে রক্ষিত সব খাদ্যদ্রব্য বের করে নিন। পানির বোতল থেকে শুরু করে চিংড়ি মাছের প্যাকেটসহ সব সরিয়ে নিন।
 বাজারে যে লিকুইড সোপ পাওয়া যায়, সেটি কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে নিন। আর ওই পানিতে ভালোমতো ধুয়ে নিন ফ্রিজের তাক, র্যাক, ড্রয়ারসহ সব টুকিটাকি অংশও।
 ঠান্ডা, পরিষ্কার পানিতে ফ্রিজের তাক, ড্রয়ার ইত্যাদি অন্তত দুবার ধুয়ে ভালোমতো মুছে নিন তোয়ালে, নিউজপেপার কিংবা টিস্যু দিয়ে।
 একইভাবে ধুয়ে মুছে নিন ফ্রিজের অভ্যন্তরীণ অংশ। খেয়াল রাখবেন, ফ্রিজে যেন পানির একটি ফোঁটাও না থাকে। প্রয়োজনে ড্রায়ার ব্যবহার করুন।
 সব তাক, র্যাক ও ড্রয়ার ধুয়েমুছে সেট করুন আবার ফ্রিজে। চালু করার অন্তত ১৫ মিনিট পর খাদ্যদ্রব্য আবার ফ্রিজে রাখবেন। সপ্তাহে অন্তত একদিন ফ্রিজ এভাবে পরিষ্কার করবেন।
 ফ্রিজে অতিরিক্ত খাবার পানি রাখবেন না, এতে ফ্রিজের ভেতরে পানি জমে ব্যাকটেরিয়া বাড়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়।
 মাছ, মাংস ফ্রিজে রাখার জন্য বড় বাক্স বা কনটেইনার ব্যবহার করুন। মাছের জন্য আলাদা ও মাংসের জন্য আলাদা বাক্স ব্যবহার করুন। এতে করে
ফ্রিজে গন্ধ তৈরি হবে না। একই পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারেন সবজি রাখার বেলায়ও।
ট্রান্সকম ইলেকট্র্রনিকস লিমিটেডের ট্রেইনি রিটেইল ম্যানেজার মো. ফয়সাল বিন আনোয়ার বলেন, ফ্রিজের রক্ষণাবেক্ষণের ওপরই নির্ভর করে ফ্রিজ আপনার খাবার কীভাবে সংরক্ষণ করবে। যেনতেন মানের ফ্রিজ ব্যবহার না করাই ভালো। আজকাল অনেক ফ্রিজে ‘ডিওডোরাইজার’ থাকে, যা খাবারের মান তো নষ্ট করেই না বরং ফ্রিজকে রাখে দুর্গন্ধমুক্ত। আর ফ্রিজের ডালায় খাবার পানির বোতল রাখলে র্যাক ঝুলে যেতে পারে। ফলে ফ্রিজে বাতাস প্রবেশ করে। অনেক ফ্রিজেই ডালা না খুলে পানি ও বরফ পাওয়ার ব্যবস্থা থাকে। তাই ফ্রিজ কেনার আগে খেয়াল করতে হবে, ফ্রিজটি আপনাকে কতটুকু স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিচ্ছে।

ওভেনের যত্ন নিন প্রতিদিন
গৃহিণীর শৌখিন বৈদ্যুতিক চুলাটিই হলো অতি শখের মাইক্রোওয়েভ ওভেন। রন্ধন বিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা বলেন, ‘সপ্তাহে অন্তত তিন দিন পুরো ওভেন ফ্রিজের মতো আলাদা অংশ করে পরিষ্কার করা দরকার। লিকুইড সোপ ছাড়াও বাজারে ওভেন ক্লিনার পাওয়া যায়। প্রয়োজনে সেটিও ব্যবহার করতে পারেন। শুধু ওভেন নয়, ওভেনে ব্যবহূত বাটিটিও পরিষ্কার রাখুন সমান মনোযোগে। ওভেনে খাবারের ছিটেফোঁটাও যেন পড়ে না থাকে, সে বিষয়ে খেয়াল রাখুন।
মো. ফয়সাল বিন আনোয়ার বলেন, ওভেনের সবচেয়ে বড় শত্রু তেলাপোকা। তাই ওভেনটি রাখুন খোলামেলা ও পরিষ্কার স্থানে। ব্যবহার শেষে ওভেনটি ঠান্ডা হলে সেটি পরিষ্কার করে অবশ্যই মোটা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখবেন। ধুলাবালি যাতে ওভেনের সুরক্ষার যান্ত্রিক অংশগুলোতে প্রবেশ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করুন।
অধিকাংশ গৃহিণী ফ্রিজ থেকে খাবার বের করে সরাসরি ওভেনে গরম করে নেন। এটি খাবারের মান নষ্ট করে। তাই ফ্রিজের খাবারের শীতল ভাব কমিয়ে ওভেনে গরম করুন। খাওয়া শেষে খাবার ওভেনে গরম করার পর বাতাসে ঠান্ডা করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন।

ত্বকের যত্নে প্রতিদিন

সারা দিনের কর্মব্যস্ত দিন। সন্ধ্যায় ঘরে ফেরা। পরের দিন আবার অফিস। ক্লান্তিতে নিজের যত্ন নেওয়ার সদিচ্ছা থাকে না। তবুও প্রতিদিনই বাইরে থেকে ফিরে ত্বকের যত্ন নিতে হবে। আর এ সময়ের বাতাসে ধুলার ভাগ বেশি থাকে। সে কারণে ত্বক পরিষ্কার রাখা দরকার। বলেন রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা কামাল।
বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বকে ধুলা বেশি জমে। সারা দিনের কর্মব্যস্ততার মধ্যেও নিজের যত্ন নিতে হবে। এর জন্য বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হবে না। তিন-চারবার পানির ঝাপটা দিতে পারেন মুখে। এতে ক্লান্তি দূর হওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত তেল থাকবে না। ফলে ব্রন হওয়ার প্রবণতা কমে যাবে। সে জন্য সকালে বের হওয়ার সময় পানিরোধক কাজল, আইলাইনার ও মাশকারা ব্যবহার করতে হবে। এরপর বাসায় ফিরে আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত্ন নিতে হবে।

তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন
এ ধরনের ত্বকের জন্য প্রথমেই প্রয়োজন তেল-ময়লা তুলে ফেলা। তাই তুলার সাহায্যে টোনার দিয়ে মুখ মুছে ফেলতে হবে। তেলমুক্ত ক্লেনজিং ফেসওয়াশ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে নিন। এরপর স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আলতো করে মুখ মুছে নিয়ে ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। তবে যাঁদের ব্রণের সমস্যা আছে, তাঁরা ব্রণ প্রতিরোধক জেল লাগিয়ে ঘুমাতে যাবেন। সকালে উঠে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এ ছাড়া বাড়িতে আগে থেকে ফেসপ্যাক বানিয়ে ফ্রিজে রাখতে পারেন। শসা, আপেল, কমলার রস, চন্দন ও সামান্য পরিমাণ টকদই দিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাকে শসার রস পরিমাণে বেশি রাখতে হবে। সম্ভব হলে প্রতিদিনই প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়বে। তৈলাক্ত ভাব কমে যাবে।

মিশ্র ত্বকের যত্ন
এই ত্বকে কোনো অংশ তৈলাক্ত আবার কোনো অংশ স্বাভাবিক বা শুষ্ক হয়ে থাকে। এ ধরনের ত্বকে প্রতিদিন টোনার ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করতে পারেন। যাতে ত্বকের তৈলাক্ত ভার কমে যায়। যেকোনো ম্যাসাজ ক্রিম দিয়ে প্রথমে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। আপনার প্রয়োজনমতো ত্বক মালিশ করুন। হালকা গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে মুখ মুছে নিন। তবে খেয়াল রাখবেন, তৈলাক্ত ত্বকে কখনো হালকা গরম পানি ব্যবহার করবেন না। এরপর বাড়িতে বানানো যেকোনো প্যাক লাগাতে পারেন। এ ক্ষেত্রে শসার রসের পরিমাণ স্বাভাবিক রেখে মৌসুমি ফল দিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। এতে ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক কোনো উপাদান নেই।

শুষ্ক ত্বকের যত্ন
এ ধরনের ত্বকে টোনার ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। প্রতিদিনের ব্যবহারের ক্লেনজিং ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ, ত্বক পরিষ্কার করে নিন। গাজর, কলা, সামান্য পরিমাণ মসুর ডাল, টকদই মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করুন।
তবে সপ্তাহে প্রতিদিন সম্ভব না হলে অন্তত তিন দিন শসার রস বা শসা গোল করে কেটে চোখের ওপর দেওয়া উচিত। সারা দিনে চোখের ওপর চাপ বেশি পড়ে। আবার ক্লান্তিও প্রকাশ পায় চোখের মাধ্যমে। তাই নিয়মিত চোখের যত্ন নিতে হবে। এভাবে নিজের যত্ন ৩০ মিনিট ধরে রাখুন। তাহলে শরীর ও মন দুই-ই সতেজ থাকবে।

Tuesday, March 29, 2011

ফাগুনে ভ্যালেন্টাইন বসন

শীত যাই যাই করছে, গাছে গজাচ্ছে নতুন পাতা। আর ক'দিন পরই পহেলা ফাল্গুন। প্রকৃতিতে বসন্তের সাজ সাজ রব। শীতের জীর্ণতা সরিয়ে ফুলে ফুলে সেজে উঠছে প্রকৃতি। ফাল্গুনের প্রথম দিনে প্রকৃতির মতোই নতুন সাজে সেজে থাকে শৌখিন তরুণ-তরুণীরা। পহেলা ফাল্গুনের পরদিনই ১৪ ফেব্রুয়ারি, বিশ্বব্যাপী চিরন্তন ভালোবাসা প্রকাশের দিন

'ভ্যালেন্টাইনস ডে'। তরুণ প্রজন্মের কাছে এ দিনটি কাক্সিক্ষত। ফাল্গুনের

আগমন এবং ভালোবাসা দিবসে আমাদের দেশের ফ্যাশন হাউসগুলো

সেজেছে রঙিন পসরায়। লিখেছেন_ খুরশীদা রহমান চৈতী

হেলদি অ্যান্ড বিউটি

সুস্থ ও সুন্দর ত্বকের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে সৌন্দর্যের মূল কথা। ক্লিনজিং, টোনিং, ময়শ্চারাইজিংয়ের প্রয়োজন তো রয়েছেই, কিন্তু তার সঙ্গেও জরুরি শারীরিক সুস্থতা। কারণ সৌন্দর্য শুধু রূপচর্চার ওপর নির্ভর করে না। এর সঙ্গে রয়েছে সিজনাল চেঞ্জ, পলিউশন, মেন্টাল স্ট্রেস, দীর্ঘক্ষণ এয়ারকন্ডিশন্ড রুমে থাকার মতো সমস্যা। তাই ইন্টারনাল ও এক্সটারনাল কেয়ারের মধ্যে যথাযথ ব্যালেন্স রাখার চেষ্টা করুন। কিভাবে, কোন পদ্ধতিতে আপনার ত্বক সুস্থ ও সুন্দর হয়ে উঠবে তা জেনে নিন।?

ব্যালেন্সড ডায়েট: ত্বকের সুস্থতার জন্য ন্যাচারাল ফুড জরুরি। ন্যাচারাল ফুড মানে সবজি, ফল, অঙ্কুরিত ছোলা, দই, সিরিয়াল ত্বকের পক্ষে উপকারী। প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ গ্লাস পানি পান জরুরি। এছাড়া ফল বা সবজির রসও শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করার জন্য উপকারী। শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী খাবারে ভিটামিন, মিনারেল, এনজাইম যথাযথ পরিমাণে থাকলে ব্যয়বহুল ফেশিয়াল ট্রিটমেন্টের তেমন প্রয়োজন পড়ে না।

এক্সারসাইজ: এক্সারসাইজ রক্ত চলাচল ও শ্বাস-প্রশ্বাসের কার্যকলাপে সাহায্য করে। এর ফলে স্কিন ও স্ক্যাল্পে ব্লাড সার্কুলেশন ভালো হয়। মেন্টাল ট্রেস থেকে ত্বক ও চুলে নানারকম সমস্যা দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে নিয়মিত এক্সারসাইজ এ সমস্যার সমাধানে কাজ করে।

ঘুম ও রিল্যাক্সেশন: ডায়েট ও এক্সারসাইজের সঙ্গে জরুরি ঘুম ও রিল্যাক্সেশনের। ঘুমের সময় বডি সিস্টেম স্লো ডাউন হয়ে যায়। সেল রিনিউয়াল প্রসেস শুরু হয়।

নিজের ত্বকের ধরন বুঝে নিন: কসমেটিক ব্যবহারের আগে নিজের স্কিন টাইপ বুঝে নেওয়া সবচেয়ে প্রয়োজন। সকালে ঘুম থেকে ওঠে মুখ ধোয়ার আগে টিস্যু দিয়ে মুখ মুছুন। টিস্যু পরিষ্কার হলে বুঝবেন আপনার নর্মাল ও ড্রাই স্কিন। সমান্য তেলাভাব থাকলে নর্মাল ও অয়েলি স্কিন। কপাল, নাক, থুতনি মুখের বিভিন্ন অংশের জন্য আলাদা আলাদা টিস্যু ব্যবহার করুন। কম্বিনেশন স্কিন কি না বুঝতে সুবিধা হবে। অয়েল গ্লান্ডের ওপর আপনার ত্বক কি ধরনের তা অনেকটা নির্ভর করে। ত্বকে সেবাম অয়েলের এ ব্যালেন্স নানা কারণে ব্যাহত হতে পারে, যেমন বেশিক্ষণ রোদে থাকা, শুকনো আবহাওয়া, সাবান, ক্লোরিন যুক্ত পানির ব্যবহার, এয়ারকন্ডিশন্ড রুমে বেশিক্ষণ থাকা, হরমোনাল ইমব্যালেন্স। এর ফলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়, অ্যাকনে বা র‌্যাশের মতো সমস্যা দেখা যায়। তাই ক্লিনজার, টোনার, ময়শ্চারাইজার কেনার সময় নিজের স্কিন টাইপের সঙ্গে সঙ্গে এ সমস্যাগুলোর কথাও মনে রাখা দরকার। যেমন বেশিক্ষণ রোদে ঘুরে কাজ করতে হলে আপনার প্রয়োজন সানস্ক্রিন, পলিউশনের জন্য দরকার ভালো ক্লেনজার।

ধুলো-ময়লা, পলিউশন থেকে নিজেকে রক্ষা করুন: এয়ার পলিউশনের কারণে ত্বকের ওপর টঙ্কিন জাতীয় পদার্থ জমতে শুরু করে, ফলে স্কিন সাপোর্টিভ টিস্যু ড্যামেজড হয়। প্রে-ম্যাচিউর এজিংয়ের সমস্যা শুরু হয়। এর থেকে ত্বককে সুরক্ষার জন্য জরুরি নিয়মিত ক্লিনজিং। ক্লিনজিং ক্রিম বা ক্লিনজিং মিল্ক এ ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে। সানস্ক্রিনও ব্যবহার করতে পারেন। রোদ থেকে সুরক্ষারপাশাপাশি ধুলো-ময়লা থেকে ত্বককেও রক্ষা করবে। সপ্তাহে না পারলেও মাসে অন্তত এক বার ফেসিয়াল করুন।

কাপড় আয়রনের নিয়ম

জামাকাপড় পরিষ্কার করাই শেষ কথা নয়, পাশাপাশি সঠিক উপায়ে কীভাবে কাপড় আয়রন করবেন তা জানা থাকা একান্ত প্রয়োজন। আসুন জানা যাক কাপড় আয়রন করার সঠিক নিয়ম

কাপড় আয়রন করার আগে সর্বপ্রথম যে বিষয়টির দিকে লক্ষ রাখবেন তা হলো সুতি, সিল্ক, জর্জেট, লিলেন, অর্থাৎ কোন ধরনের কাপড় আয়রন করছেন। কাপড়ের ধরন বুঝে আয়রনের তাপমাত্রা নির্ধারণ করুন। সাধারণত আয়রনের গায়েই কাপড়ের ধরন আনুযায়ী কোন তাপমাত্রা প্রয়োজন তা লেখা থাকে। ভালো এবং পরিপাটি আয়রনের জন্য প্রথমে কাপড়টিতে হাল্কা পানি ছিটিয়ে দিন। পশমী কাপড় আয়রন করার সময় কাপড়ের ওপর ভেজা গামছা রেখে আয়রন করবেন। ব্লাউজ বা শার্ট আয়রন করার সময় প্রথমে ব্লাউজ বা শার্টের হাতাগুলো আয়রন করে নিন। যে জায়গায় কাপড়টি রেখে আয়রন করছেন তা যেন একটু শক্ত ধাঁচের হয় সেদিকে লক্ষ রাখুন। যারা বিছানার ওপর কাপড় আয়রন করেন তারা অবশ্যই বিছানার চাদরের ওপর মোটা কাপড় বিছিয়ে তারপর আযরন করবেন। ফাহমিদা আক্তার

ভ্রমণের আগে গোছগাছ

ভ্রমণে যাওয়ার অতি উচ্ছ্বাস আর আনন্দে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। আগেভাগে গোছগাছের কাজটি ঠিকভাবে সেরে নিলে ভ্রমণের পুরো সময়ই ভালো ও সুস্থ থাকা যায়। ফলে আপনার ভ্রমণটি হয়ে উঠবে স্মৃতি ও আনন্দময়।



বন্ধু কিংবা পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভ্রমণে যাওয়ার আনন্দই আলাদা। আজকের এ লেখা যখন আপনার হাতে_ হতে পারে আপনি তখন ব্যাগপত্র গুছিয়ে ভ্রমণে। 'হতে পারে বাসে কিংবা ট্রেনে।' অথবা প্রস্তুতি নিচ্ছেন বেরিয়ে পড়ার।


ভ্রমণকে নিরাপদ ও আরামদায়ক করতে ভ্রমণের আগে পরিকল্পনা, এলাকা সম্পর্কে জানা, নিজের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য বিষয়ে সতর্কতা গ্রহণ করতে হয়। ভ্রমণরত অবস্থায় পূর্ব পরিকল্পনার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো অমিল বা পথঘাট সম্পর্কে ধারণা না থাকায় আপনাকে বেশ অস্বস্তিতে ফেলতে পারে। কখনো কখনো ভ্রমণ পথেই অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। তখন ভ্রমণটাই হয়ে উঠবে তিক্তময়। আর মাটি হয়ে যাবে সব আনন্দ। এমন বাজে পরিস্থিতির হাত থেকে বাঁচার জন্য কিছু টিপস্ ।

ভ্রমণের সময় কিছু কিছু সমস্যা আছে যেগুলো কমবেশি সবারই হতে পারে। যেমন_ মাথাব্যথা, পেটের সমস্যা, ঘুমের অসুবিধা, সর্দি-কাশি, জ্বর-বমি ইত্যাদি। এর মধ্যে পেটের সমস্যায় অধিকাংশ মানুষ ভোগে। এর প্রধান এবং অন্যতম কারণ_ খাবার-দাবার ও পানি। ভ্রমণের সময় সবচেয়ে ভালো সেদ্ধ খাবার খাওয়া। এর সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে ফলমূল ও শাক-সবজি; বিশেষত যেসব ফল খোসা ছাড়িয়ে বা কেটে খেতে হয়, যেমন- কলা, আম, তরমুজ, পেঁপে ইত্যাদি।

ভ্রমণে এসিডিটি হতে পারে। আগে থেকেই এসিডিটির ওষুধ সঙ্গে রাখুন। * উচ্চ রক্তচাপের রোগীরাও বিশেষ সতর্ক থাকবেন। ভ্রমণের দু'একদিন আগে ব্যক্তিগত চিকিৎসকের চেম্বার ঘুরে আসুন। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও একই পরামর্শ। ডায়াবেটিস রোগীরা ভ্রমণকালীন সঙ্গে গ্লুকোজ গোলানো পানির বোতল রাখুন। সুগার কমে 'হাইপোগ্লাইসোমিয়া' হয়ে যেতে পারে যে কোনো সময়। হাতের কাছে বিশুদ্ধ পানির বোতল রাখুন। অনিরাপদ পানি পান করবেন না। আপনার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কমন কিছু এন্টিবায়েটিকসহ জরুরি কিছু ওষুধ সঙ্গে রাখুন।

একটি ট্রাভেল কিট বানিয়ে নিতে পারেন যেখানে থাকবে প্রয়োজনীয় ওষুধসহ, গজ, ব্যান্ডেজ, অ্যান্টিসেপটিক মলম বা সলিউশন।

ভ্রমণের ধরন এবং আবহাওয়া অনুযায়ী পোশাক নির্বাচন করুন। জুতার ব্যাপারে বাড়তি মনোযোগ প্রয়োজন। আরামদায়ক কেডস হলে ভালো হয়। মেয়েরা হিল জুতা ব্যবহার না করলেই ভালো। আপনার এলার্জি আছে এমন খাবারের নাম মনে রাখুন।

ভ্রমণ শুরু করার আগে ভরপেট না খাওয়া ভালো। ভ্রমণে শিশু সঙ্গে থাকলে তাকে ঘুমাতে উৎসাহিত করুন। বিশেষ কোনো অসুখ থাকলে প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে নেবেন। গর্ভবতী মহিলারা ডাক্তারের পরামর্শ মেনে ভ্রমণ করবেন। যানবাহন চলাকালে কোনো বই বা খবরের কাগজ পড়বেন না। এতে চোখের ওপর চাপ পড়বে। দীর্ঘ ভ্রমণে পা দুটো যতটা সম্ভব ছড়িয়ে বসবেন । মাঝে মাঝে পা নাড়াচাড়া করুন যাতে রক্ত চলাচল ঠিক থাকে। দীর্ঘ ভ্রমণের আগে ডাক্তার দেখিয়ে আপনার স্বাস্থ্য ঠিক আছে কিনা নিশ্চিত হোন ।

নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে

ভ্রমণ এলাকা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন। জেনে নিন কোনো নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি রয়েছে কিনা। ওই এলাকার মানুষ কেমন রীতিনীতি মেনে চলেন_ এমন রীতিনীতি জেনে নিন। ভ্রমণ এলাকায় কোনো রোগের প্রাদুর্ভাব আছে কিনা তা জেনে নিন। ভ্রমণ এলাকার লোকদের রীতিনীতিকে আহত করে এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকুন। আবাসিক হোটেল সম্পর্কে সচেতন হোন । যদি মূল্যবান কোনো বস্তু বা বেশি টাকা সঙ্গে থাকে তাহলে খোঁজ নিয়ে একটি ভালো নিরাপদ হোটেলে উঠুন। ভ্রমণের পরিকল্পনা অপরিচিত লোকের সঙ্গে শেয়ার করবেন না এবং তাদের কাছ থেকে কোনো উপহার গ্রহণ করবেন না।

নির্ধারিত স্টেশন ছাড়া অন্য স্থান থেকে বাস, ফেরি, নৌকা ইত্যাদিতে উঠানামা বর্জন করুন।

ভ্রমণ মানেই হলো পেছনের যত অবসাদ আছে তা ঝেড়ে ফেলে সামনের কাজের জন্য শক্তি সঞ্চয় করা। তাই ভ্রমণের সময় অসুখ বাঁধিয়ে সামনের দিনগুলো যেন নষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। সবকিছু সুন্দর করে গুছিয়ে, সুন্দর মনে পরিবারের সদস্য কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে বেরিয়ে পড়ুন ভ্রমণের উদ্দেশ্যে।

ফুল সাজানোর টিপস্

ফুলের পরিমাণ অনুযায়ী পাত্র বেছে নিন। ছোট ফুলদানিতে বেশি পানি ধরে না, এ কারণে ফুল শুকিয়ে যায়। তাই কিছুটা বড় পাত্র বেছে নিন ফুল রাখার জন্য।

কুঁড়ি বা আধাফোটা অবস্থায় ফুলগুলো তুলে সাজান। এতে ফুলের রং আরও উজ্জ্বল হবে, তার ওপর ফুলফোটাও দেখতে পাবেন।

ফ্লাওয়ারভাসে ফুল সাজানোর আগে পানিতে লবণ ও ভিনিগার মিশিয়ে নিন।

ফুলদানিতে ফুল সাজানোর পর সরাসরি সূর্যের মুখোমুখি, রেডিয়েটের সামনে, ফ্যানের নিচে, টেবিলের ওপর না রাখাই ভালো। এতে ফুল থেকে পানি তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।

ফুল সাজালে কিছুদিন পরপর পরিষ্কার পানি হালকাভাবে স্প্রে করুন। এতে ফুলে চারপাশে ভেজা ভেজা ভাব থাকবে।

ফাহমিদা আক্তার

ঠোঁটের মেক-আপ

মুখের সৌন্দর্যের অন্যতম আকর্ষণ ঠোঁট। এক জোড়া সুন্দর ঠোঁট সুন্দর হাসিকে আরও উজ্জ্বল করে তুলতে পারে। আর সেই ঠোঁট যদি হয় হরেক রংয়ের ছোঁয়ায় রঙিন, তাহলে আনন্দ বাড়ে আরও এক প্রস্থ। ঠোঁট রাঙিয়ে তুলুন, ছড়িয়ে দিন উজ্জ্বল হাসি। এ নিয়েই ফিচার। লিখেছেন _খুরশীদা রহমান চৈতী



আঁকাবাঁকা লিপলাইন, ধ্যাবড়া লিপস্টিক, বিসদৃশ লিপগ্লস পুরো মেক-আপের দফারফা করে দিতে পারে। মুখের অন্যতম আকর্ষণ ঠোঁট দুটি ঠিকঠাক সাজিয়ে তুলতে জেনে নিন কী করবেন।


সরু ঠোঁট

খুব সাবধানে রেখার ভেতরে লিপস্টিক লাগান। লিপ গ্লস অবশ্যই লাগাবেন।

মোটা ঠোঁট

ঠোঁটের ভেতর দিয়ে লিপলাইনারের রেখা টানুন যাতে ঠোঁট পাতলা দেখায়। ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার করলে ঠোঁটের মোটাভাব কমবে।

অসমান ঠোঁট

বেশিরভাগ সময় উপরের ঠোঁট নিচের ঠোঁটের তুলনায় পাতলা হয়। সে জন্য উপরের ঠোঁটে লিপ লাইনার একটু বাইরের থেকে টানুন।

উপরের ঠোঁটের মাঝখানে 'ভি' শেপের জায়গায় একটু গাঢ় করে রেখা টানুন।

পাতলা ঠোঁটে একটু গাঢ় করে লিপস্টিক লাগান।

গাঢ় শেডের ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার করুন।

কী করে বাছবেন লিপস্টিকের শেড

যাদের রং চাপা তারা প্লাম, ওয়াইন বা লালের শেড বাছুন। যাদের গায়ের রং পরিষ্কার তাদের পিঙ্ক, লাইট ব্রাউন, অরেঞ্জ বা রেজিন শেড ভালো দেখাবে।

এক্সপেরিমেন্টের জন্য দু'রকম রং মিশিয়ে স্কিন টোনের সঙ্গে মানানসই নতুন শেড তৈরি করতে পারেন।

হেভি আই মেক-আপ করলে ঠোঁটে গাঢ় শেডের লিপস্টিক লাগাবেন না।

লিপলাইনার

একই রংয়ের লিপলাইনার এবং লিপস্টিক ব্যবহার করা যেতে পারে। লিপলাইনারের রং একটু গাঢ় হলেও কোনো সমস্যা নেই।

লক্ষ রাখবেন লিপলাইনার পেনসিলটি যেন ভালোভাবে কাটা থাকে।

প্রথমে দু' ফোঁটা ময়েশ্চারাইজার ঠোঁটে মাসাজ করে নিন। লিপলাইনার দিয়ে ঠোঁটের দুই কোণ, উপর ও নীচের ঠোঁটের মাঝখানের অংশ লাইন করে নিন। এতে ঠোঁটের শেপ স্পষ্ট হবে। এরপরে হালকা রেখার সাহায্যে ঠোঁটের ধার দিয়ে আগের টানা রেখাগুলো জুড়ে দিন।

লিপস্টিক

লিপস্টিক সরাসরি ঠোঁটে না লাগিয়ে, ছোট লিপব্রাশ ব্যবহার করলে লিপস্টিক ঠোঁটে ভালোমতো বসবে। মুখ অল্প খোলা রেখে, প্রথমে ঠোঁটের মাঝখান থেকে লিপস্টিক লাগাতে শুরু করুন।

ধীরে ধীরে ঠোঁটের কোণের দিকে খুব সতর্কভাবে লিপস্টিক লাগান, যাতে লিপলাইনারের গণ্ডি পার করে রং বেরিয়ে যায়। লিপস্টিক লাগানো হয়ে গেলে, একটা টিস্যু পেপার আস্তে করে দুই ঠোঁটের মাঝে চেপে ধরুন। যদি এক্সট্রা রং ঠোঁটে লেগে থাকে, উঠে আসবে।

লিপস্টিক কেনার সময় হাতের তালুর পেছনে হালকা করে দাগ দিয়ে দেখে নিন স্কিন টোনের সঙ্গে মিলছে কি না। লিপস্টিক দিয়ে কখনোই ব্লাশারের কাজ সারবেন না। যাদের বয়স ৫০-এর বেশি, তারা ম্যাট বা গ্লসি বাদ দিয়ে ক্রিম ভ্যারাইটির লিপস্টিক ব্যবহার করুন।

লিপগ্লস

ঠোঁটে গ্লসি ফিনিশ চাইলে লিপগ্লস ব্যবহার করতে পারেন। ম্যাট ফিনিশের জন্য ফেস পাউডার হালকা এক কোট ঠোঁটে লাগিয়ে নিতে পারেন। লিপগ্লস ঠোঁটের মাঝখানে লাগিয়ে দুটো ঠোঁট চেপে ধরে চারদিকে স্মাজ করে নিন। ঠোঁটের রং খুব গাঢ় হলে লিপস্টিকের ওপর লিপগ্লস না লাগানোই ভালো।

ঘরে বসে হেয়ার স্পা

ঝলমলে সুন্দর চুল কে না চায়। চুলের আকর্ষণই অন্য রকম। সুন্দর একটু চেষ্টা করলে পার্লারে না গিয়ে ঘরে বসেই নেওয়া যেতে পারে চুলের যতœ। এতে চুল হবে সুন্দর, মজবুত, ঝলমলে আর আকর্ষণীয়। লিখেছেন -খুরশীদা রহমান চৈতী



হেয়ার স্পা চুল সুস্থ ও সুন্দর করে তোলার এক বিশেষ পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে প্রথমে আপনার চুল কি ধরনের, মানে চুল তৈলাক্ত না শুষ্ক, স্ক্যাল্পে কোনো সমস্যা আছে কিনা এগুলো টেস্ট করা হয়। তারপর অয়েল ম্যাসাজ, শ্যাম্পু, হেয়ার মাস্ক, কন্ডিশনার ব্যবহার করে স্ক্যাল্প চুল নরম ও মসৃণ করে তোলা হয়। শ্যাম্পু করার পর ডিপ কন্ডিশনিং মাস্ক লাগিয়ে ২০-২৫ মিনিট ম্যাসাজ করা হয়। হেয়ার স্পাতে আপনার চুলের প্রকৃতি অনুযায়ী ক্রিম ব্যবহার করে পুরো চুলের স্পা করতে পারেন। সাধারণত বিউটি পালারে প্রফেশনাল বিউটিশিয়ানরা হেয়ার স্পা করে থাকেন। তবে বাড়িতেও হেয়ার স্পা করতে পারেন।


কখন হেয়ার স্পা করা জরুরি

নিচের কয়েকটি প্রশ্নের চটপট উত্তর দিয়ে ফেলুন। ২-৩টি প্রশ্নের উত্তর মিলে গেলে বুঝবেন আপনার জন্য হেয়ার স্পা জরুরি।

আপনার স্ক্যাল্প কি প্রায়শই চুলকায়, এমনকি শ্যাম্পু করার পরও?

চুল একেবারে নিস্তেজ ও নিষ্প্রভ হয়ে পড়ছে, কোনো চকচকে ভাব নেই? চুলের ডগা ফেটে গেছে ও খুব রুক্ষ হয়ে পড়ছে কি?

প্রায়শ চুলে জট পাকিয়ে যায়, চুল এলোমেলো হয়ে পড়ে? আপনি কি খুব স্ট্রেসড?

হঠাৎ চুলে খুব খুশকি হচ্ছে? কয়েক মাসে চুলে কালার বা কোনো কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট করেছেন কি?

বাড়িতে কিভাবে হেয়ার স্পা করবেন

বাড়িতে হেয়ার স্পা করতে লাগবে মাইল্ড হার্বাল শ্যাম্পু ও প্লাস্টিক সাওয়ার ক্যাপ, তোয়ালে, বড় দাঁড়ার চিরুনি, হেয়ার কন্ডিশনিংয়ের কতকগুলো উপকরণ।

চুল ময়লা হলে প্রথমে চুল শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। চুল পরিষ্কার থাকলে হেয়ার কন্ডিশনিংয়ের উপকরণগুলো সহজে চুলের গোড়ায় প্রবেশ করবে।

শ্যাম্পু করার পর ভালো করে পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এরপর মাথায় তোয়ালে জড়িয়ে রাখুন। চুলের ভিজে ভাব কমে গেলে চুল আঁচড়ান। চুলের আগা থেকে জট ছড়াতে শুরু করুন। প্রথমে চুলের উপরের অংশ থেকে জোরে জোরে চুল আঁচড়াবেন না। হেয়ার মাস্ক বাড়িতেও তৈরি করে নিতে পারেন। উপকরণ : ডিম ১টি, ১ টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, ১ চা-চামচ গি্লসারিন বা মধু ভালো করে মিশিয়ে নিন। এগ বিটার দিয়ে মিশিয়ে নিতে পারেন।

স্ক্যাল্পে ও চুলে এই মিশ্রণ ভালো করে লাগান। পরে প্লাস্টিক সাওয়ার ক্যাপ পরে নিন। ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। ১ ঘণ্টা পর আবারও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।

৪ কাপ পানিতে ব্যবহার করা চা-পাতা দিয়ে ভালো করে ফোটান। এই মিশ্রণের সঙ্গে লেবুর রস মেশান। ঠাণ্ডা করুন। শ্যাম্পুর পর হেয়ার রিন্স হিসেবে এটি ব্যবহার করুন। এতে চুল চকচকে ও পরিষ্কার হবে।

হেয়ার স্পার পর কিভাবে চুল মেনটেইন করবেন

শুষ্ক চুলে সপ্তাহে অন্তত ২ দিন অয়েল ম্যাসাজ করুন। তারপর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। বেশি কেমিক্যালসমৃদ্ধ শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। চুলের ন্যাচারাল অয়েল ব্যালান্স নষ্ট হয়ে যেতে পারে। শ্যাম্পুর পর নারিশিং-ময়শ্চারাইজিং কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। মাসে একবার ডিপ কন্ডিশনিং মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। ইলেকট্রিক কার্লার বা ড্রায়ার ঘনঘন ব্যবহার করবেন না। এতে চুল আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।

বাড়ি-ঘর পরিষ্কারের কৌশল

সপ্তাহজুড়ে কাজের ফাঁকে বাড়িঘরের দিকে নজর দেওয়ার সময় পাওয়াই মুশকিল। সুতরাং ঘর নোংরা হওয়াই স্বাভাবিক। কোথাওবা ঝুল উঁকিঝুঁকি মারছে, জানালার কোণে জমেছে ধুলো আর বাথরুমটা না ধুলেই নয়। সব মিলিয়ে ঘরের অবস্থা বেশ নাজুক। প্রতিদিন যদি বাড়িঘরের দিকে একটু নজর দেন তবে আপনার ওপর একসঙ্গে বেশি চাপও পড়ে না আর আপনার বাড়িও থাকবে ফিটফাট।

কি করবেন, কিভাবে করবেন :

আপনার বাড়ির প্রতিটি ঘর ভালোভাবে দেখে নিন। যেসব জায়গা বেশি পরিষ্কার রাখা বা করা দরকার, তার একটি লিস্ট করুন। বাড়ির সবাইকে লিস্ট মিলিয়ে একেকটি দায়িত্ব দিন। এতে কাজও তাড়াতাড়ি হবে আর সবার অংশগ্রহণও বাড়বে। *ঘুম থেকে ওঠার পর বিছানা ঝেড়ে ফেলুন। পরে করবেন ভেবে ফেলে রাখবেন না। ৩-৪ দিন পরপর বিছানার চাদর পাল্টাবেন। সঙ্গে বালিশের কভারও বদলে নিন। *ঘর ঝাড় দেওয়া বা মোছার সময় বাঁচাতে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করতে পারেন। পাশাপাশি পর্দা বদলাতে পারেন।

ঘরে জিনিসপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখবেন না। যথাযথ স্থানে জিনিসপত্র রাখুন। বাড়ির অন্যদেরও এ নিয়ম মেনে চলতে বলুন। এতে বাড়ি এমনিতেই পরিষ্কার থাকবে। *বাড়ির প্রতিটি ঘরে একটি করে ছোট ডাস্টবিন রাখতে পারেন। যেন সব ট্র্যাশ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে না থেকে ওখানে গিয়ে জমা হয়। বাথরুম এবং রান্নাঘরেও ডাস্টবিন রাখা প্রয়োজন। *রান্নাঘর সাধারণত সবচেয়ে বেশি নোংরা হয়। রান্না করতে করতেই আপনি বাসন মেজে ফেলতে পারেন। এমনকি রান্নাঘরের জিনিসপত্রও গুছিয়ে রাখতে পারেন।

ফাহমিদা আক্তার

চোখের সৌন্দর্য বাড়াতে

সুন্দর একজোড়া চোখ আপনার শ্রীকে যেমন বাড়িয়ে দিতে পারে অনেক গুণ, তেমনি সুন্দর একজোড়া চোখের অভাবে আপনার সব সৌন্দর্য মাটিও হয়ে যেতে পারে। চোখের যত্ন নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন_

চোখ শুধু দেখার কাজে ব্যবহার হয় না। সৌন্দর্য অনেক ক্ষেত্রে চোখের মাধ্যমেও প্রকাশ পায়। তাই চোখ ও তার পার্শ্ব এলাকার যত্ন নেওয়া একান্ত প্রয়োজন।

চোখের যত্নে প্রথমেই যেটা করণীয় তা হলো নিয়মিত চোখ পরিষ্কার করা। দিনে যতবার সম্ভব ততবার চোখ পরিষ্কার করবেন। সপ্তাহে অন্তত তিনদিন গোলাপজল দিয়ে চোখ ধোবেন। তবে রাতে শোয়ার আগে গোলাপজল দিয়ে চোখ ধুলে সবচেয়ে ভালো হয়। গোলাপজল দিয়ে চোখ ধুলে চোখ সতেজ থাকে।

চোখের চারপাশে অনেক সময় কালো দাগের সৃষ্টি হয়, যা দেখতে অত্যন্ত খারাপ দেখায়। এই কালো দাগ দূর করতে বাদামবাটা ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে মিশ্রণটি চোখের চারপাশে কয়েক মিনিট মালিশ করুন। এছাড়া লেবুর রস ও কাঁচা দুধ মিশ্রণ করে চোখে লাগাতে পারেন। আলুর রস, শসার রস নিয়মিত লাগালেও চোখের নিচের কালো দাগ দূর হয়।

অনেক সময় অতিরিক্ত কাজ, যেমন অনেকক্ষণ ধরে টিভি দেখা, কম্পিউটারে কাজ করা ইত্যাদি কারণে চোখে ক্লান্তির ভাব ফুটে ওঠে। এক্ষেত্রে চায়ের লিকার ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে অথবা বরফ দিয়ে তাতে তুলা ভিজিয়ে চোখ বন্ধ করে তার উপর রাখুন। বিশ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন।

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেরই চোখের চারপাশে বলিরেখা পড়ে। চোখের এই বলিরেখা দূর করার জন্য পাউরুটির চারপাশটা ফেলে দিয়ে ভেতরের তুলতুলে নরম অংশটা সামান্য গরম দুধে ভিজিয়ে ২-৩ ফোঁটা বাদাম তেল মিশিয়ে নিন। এবার একটি পাতলা কাপড়ে পাউরুটির টুকরো বেঁধে নিয়ে বলিরেখার ওপর বুলাতে থাকুন। এর ফলে অনেক সময়ই চোখের বলিরেখা মুছে যায়। চোখ ভালো রাখতে চোখের বিশ্রামের প্রয়োজন আর বিশ্রামের জন্য ঘুমের বিকল্প নেই। দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম চোখের বিশ্রামের জন্য একান্ত প্রয়াজন। সবুজ গাছপালার দিকে তাকান, এতে চোখের জ্যোতি বাড়বে, চোখ আরামও পাবে। হাতের তালু দিয়ে ৫ মিনিট চোখ ঢেকে রাখলেও চোখের খানিকটা বিশ্রাম হবে।

চোখের যত্নে আরও কিছু টিপস্

পিড়াশোনা বা সেলাই ইত্যাদি সূক্ষ্ম কাজগুলো করার সময় আমাদের চোখে চাপ পড়ে বেশি। এ ক্ষেত্রে ১ ঘণ্টার বেশি একনাগাড়ে এসব কাজ করা উচিত নয়। অল্প আলোতে পড়াশোনা বা সেলাই_ এ দুটো না করাই ভালো। িিটভি দেখার সময় চেষ্টা করবেন ৮-১০ ফুট দূরে বসে টিভি দেখতে। কিম্পিউটারে একনাগাড়ে অনেকক্ষণ বসে কাজ না করে বিরতি নিয়ে কাজ করুন। এতে চোখে চাপ কম পড়বে। শুিয়ে বা কাত হয়ে বই পড়া উচিত নয়। সবসময় বসে বই পড়ার চেষ্টা করবেন। েিচাখের মেকআপ তোলার ক্ষেত্রেও যত্নবান হবেন। চোখের নিচের অংশ খুবই স্পর্শকাতর। তাই মেকআপ তোলার সময় খুব সাবধানে আস্তে আস্তে তুলবেন।