Monday, April 25, 2011

গৃহস্থালি টিপস্

পাতিলেবুর খোসা না ফেলে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে ডিটারজেন্টের সঙ্গে মিশিয়ে কাপড় ধুলে ভালো পরিষ্কার হবে এবং কাপড়ে সুন্দর গন্ধও হবে। িগুড়ো সাবানের সঙ্গে মিশিয়ে মাজলে বাসন ঝকঝকে হবে। িনিমকি, শিঙ্গাড়া, পরাটার ময়দা মাখার সময় লেবুর রস দিলে মচমচে হবে। িমাথায় খুশকি হলে ছানার পানির সঙ্গে পাতিলেবুর রস লাগান। সপ্তাহে অন্তত দু'দিন লাগাতে হবে। কিছুদিনের মধ্যেই খুশকি সেরে যাবে। িলেবু পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, রস বের করে আইস ট্রেতে জমিয়ে রাখুন। প্রয়োজন মতো ব্যবহার করতে পারবেন। িদেয়ালে অথবা দরজা-জানালার ফাঁকা অংশে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে রাখুন, ঘরে পিঁপড়ার উপদ্রব বন্ধ হবে।

ফাহমিদা আক্তার

গরমে থাকুন সুস্থ-সতেজ

গরমের দাবদাহ মানেই প্রচুর পিপাসা, ঘামানো, আহারে অরুচি আর ক্লান্তি। কি খাবেন, কেমন পোশাকে আরাম পাবেন, কি করলে এই গরমেও থাকবেন সুস্থ, সুন্দর, নির্মল তা নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন। লিখেছেন _ খুরশীদা রহমান চৈতী



আমাদের বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। এখানে গ্রীষ্ম ঋতু দীর্ঘস্থায়ী হয়। এ সময় লাগাতার তাপ সহ্য করা ও সুস্থ থাকা খুবই কষ্টকর। গরমে সুস্থ থাকার জন্য একান্ত প্রয়োজন সঠিক খাদ্যাভ্যাস। খাদ্য তালিকায় ভুল নির্বাচন বা অত্যাবশ্যক খাবারের অনুপস্থিতি আপনাকে অসুস্থ করে তুলতে পারে।


গরমে কি খাবেন বা কি এড়িয়ে চলবেন

প্রতিদিন অন্তত ২ থেকে আড়াই লিটার পানি পান করা।

তৈলাক্ত ও অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার, রাস্তার খোলা খাবার বা পানীয় এড়িয়ে চলা ভালো। এসব খাবারে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। িগরমকাল মানেই ব্যাকটেরিয়া ভাইরাসের বংশবৃদ্ধির আদর্শ সময়। খাবার বা পানিবাহিত অসুখ, যেমন টাইফয়েড, জন্ডিস এসব অনাকাক্ষিত রোগ এসময় বেশি হয়। সে জন্যই রাস্তার শরবত, খোলা খাবার বা কাটা ফল খাওয়া উচিত নয়। িএকসঙ্গে বেশি পরিমাণ খাবার না খেয়ে বারবার অল্প পরিমাণে হালকা খাবার খাওয়া উচিত। িএ সময় শরীর থেকে ঘাম হয়ে শরীরের দরকারি লবণ-পানি ঝরে পড়ে। তাই গরমে মৌসুমি সবজি ও ফল যেমন- লাউ, পেঁপে, পটল, ঝিঙে বা তরমুজ, আম, জাম, জামরুল খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত। সেই সঙ্গে ডাবের পানি, টাটকা ফলের রস, শসা বেশি করে খাওয়া দরকার। বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকোলি, শিম এড়িয়ে চলুন।

িটক দই অত্যন্ত উপকারী। গরমে নানাভাবে টক দই খাওয়া দরকার।

মোট কথা এমন খাবার বেছে নিন, যাতে ফাইবার, ক্লোরফিল, ওয়াটার কনটেন্ট, প্রচুর জলীয় উপাদান ও অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট বেশি থাকবে।

গরমে রূপচর্চা : ঘামে ভিজে মাথায় গন্ধ বা দিনের শেষে চটচটে চুল নিয়ে ঝামেলা লেগেই থাকে। সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন ভালো শ্যাম্পু দিয়ে অবশ্যই চুল ধুয়ে নেবেন। মাসে দুবার চুলের প্রকৃতি অনুযায়ী কন্ডিশনিং করা জরুরি। টক দই, ডিম, মোসাম্বির রস, অল্প হেনা শিকাকাই, আমলকী-মেথি পাউডার, নারিকেল তেল দিয়ে একটা প্যাক বানান। ৪৫ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। শেষে আধা মগ পানিতে ১টি পাতিলেবুর রস ও অল্প ভিনেগার মিশিয়ে চুল ধুয়ে নিলে ঔজ্জ্বল্য বাড়বে। স্কিন ট্যান দূর করতে কমলালেবুর খোসা বাটা ও শসার রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগান। রোদ থেকে ফিরে শসার রস ও তরমুজের রস একসঙ্গে মিশিয়ে ১০ মিনিট লাগান। টক দই মুখে মেখে গোটা চিনি দিয়ে হালকা হাতে ৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন। ত্বক পরিষ্কার রাখুন, তাতেই ৮০ ভাগ সমস্যা মিটে যাবে। রোদে বেরুনোর অন্তত ২০ মিনিট আগে অবশ্য সান ব্লক লোশন (জেল বেসড হলে ভালো) ব্যবহার করুন। গরমে ঘামের সঙ্গে তেল বেরোয় বেশি। ফলে ব্লাক, হেডস, হোয়াইট হেডস, ব্রণের সমস্যা বাড়ে। ত্বক পরিষ্কার রেখে নিযমিত ক্লিনজিং, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিং করা এবং ত্বক অনুযায়ী প্যাক লাগানো উচিত। গ্রিন-টি'র লিকার ঠাণ্ডা করে টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। অতিরিক্ত গরমে সিন্থেটিক পোশাক না পরাই ভালো, হালকা রং-এর সুতির নরম পোশাক পরাই ভালো। খুব টাইট,পা ঢাকা জুতা পরার চেয়ে খোলা স্যান্ডেল পরা ভালো। বাইরে বের হবার সময় সাথে ছাতা, সানগ্লাস এবং পানির বোতল নিতে ভুলবেন না।

চোখের যত্নে

কর্মব্যস্ত দিনে চোখে বেশি চাপ পড়ে। কারণ, কখনো কম্পিউটারের সামনে, কখনো টেলিভিশনের সামনে বা কখনো মনোযোগ দিয়ে কিছু পড়া হয়। এর মধ্যে চোখের বিশ্রামের কথা ভাবার অবকাশ হয় না। এ ছাড়া চোখ সাজানোর জন্য কত কিছুই তো করা হয়। কিন্তু বাড়ি ফিরে ভালোভাবে চোখ কি পরিষ্কার করা হয়?
হারমনি স্পার রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা বলেন, একনাগাড়ে কাজ করা উচিত নয়। বিশেষ করে কম্পিউটারে। সম্ভব হলে ১৫ মিনিট অন্তর অন্তর কিছুক্ষণ চোখ বুজে থাকুন। তা না করলে চোখে লাল হয়ে যায়। দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসে। এগুলো ছাড়াও চোখে নানা ধরনের সমস্যা দেখা যায়। বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। তবে প্রতিদিন যত্ন নিলে ছোট সমস্যাগুলো এড়ানো যায়। অফিসে বা বাড়িতে বসেই এ যত্ন নিতে পারেন। সে জন্য নানা পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
ওয়াটার প্রুফ মাশকারা ও আইলাইনার খুব প্রয়োজন না হলে ব্যবহার না করাই ভালো। চোখের ভালো মানের কৃত্রিম পাপড়ি ব্যবহার করা উচিত। কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে এর ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। কাজের চাপ বেশি থাকলে চোখে কয়েক মিনিট আইকভার দিয়ে রাখতে পারেন। আইকভার না থাকলে নরম কাপড় দিয়ে চোখ ঢেকে রাখুন। এ ছাড়া বাইরে থেকে ফিরেই চোখে বেশি করে পানির ঝাপটা দেওয়া উচিত। এতে ধুলা-ময়লা সব পরিষ্কার হবে।
এবার তুলতে হবে চোখের মেকআপ। তুলায় বেবি অয়েল বা অলিভ অয়েল নিয়ে ধীরে ধীরে মেকআপ তুলুন। অনেকে অন্য কোনো প্রসাধনসামগ্রী ব্যবহার না করলেও নিয়মিত কাজল ব্যবহার করেন। তাঁরা মনে করেন, এটি আবার তোলার কী আছে। এটি ভুল ধারণা। কাজলও ভালোভাবে তুলতে হবে। অলিভ অয়েল বা বেবি অয়েল তুলায় নিয়ে কাজল তুলতে পারেন। চোখের মেকআপ তোলার জন্য বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের লিকুইড পাওয়া যায়। সেসবও ব্যবহার করতে পারেন। চোখের নিচে কালো দাগ থাকলে আন্ডারআই ক্রিম ব্যবহার করুন। চোখের ক্লান্তি কমাতে শসা বা আলুর রস তুলায় ভিজিয়ে চোখের ওপরে দিন। কয়েক মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। কাঁচা দুধের মধ্যে তুলা ভিজিয়েও চোখের উওপরে ১০ মিনিট রাখতে পারেন। ফ্রিজে রাখা ব্যবহূত টি-ব্যাগ চোখের চারপাশে ১০ মিনিট রেখে দিন। দেখবেন নিমেষেই ক্লান্তি দূর হয়ে গেছে।
ছুটির দিনে বাড়িতে বসে চোখের উপযোগী প্যাক লাগাতে পারেন। টমেটোর রস, মসুর ডাল, গুঁড়া দুধ, মধু ও তিলের তেল মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করতে পারেন। যাঁদের চোখ ফোলা থাকে, তাঁরা ত্রিফলার গুঁড়া, দুধ ও মধু মিশিয়ে হালকা করে মালিশ করুন। এতে চোখের ফোলাভাব কমে যাবে।
চোখের উপযোগী ব্যায়াম নিয়মিত করা উচিত। মাথা সোজা রেখে চোখ হাতের ডান থেকে বাঁয়ে ও বাঁ থেকে ডানে ১০ বার ঘোরাতে হবে। প্রতিদিন সম্ভব না হলে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন করা যেতে পারে। রোদে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করুন। আর সানগ্লাস পরতে ভুলবেন না। সঙ্গে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। চোখের ক্লান্তি দূর করতে প্রকৃতির সবুজ রঙের জুড়ি নেই। একটু সময় পেলে সবুজে ঘেরা কোথা থেকে ঘুরে আসুন। মনও ভালো থাকবে, চোখও আরাম পাবে।

গরমে চুল বাঁধার ঢং

অসহ্য গরমে চুল খুলে রাখা বিপত্তিই। তবে কি কেটে ফেলবেন লম্বা চুলগুলো! তা কেন? জেনে নিন গরমে কীভাবে বেঁধে রাখবেন চুল। তাতে স্টাইলে কমতি হবে না একটুও।
চুল বাঁধার বেশ কয়েক ধরনের পদ্ধতির কথাও জানিয়েছেন হেয়ারোবিক্সের সৌন্দর্যবিষয়ক পরামর্শদাতা তানজিমা শারমিন।
গরমে একটু উঁচু করে চুল বাঁধতে চাইলে পনিটেল সবচেয়ে সহজ উপায়। অপেক্ষাকৃত গোল মুখের সঙ্গে পনিটেল বেশি ভালো লাগে। নানা নামে পনিটেলের আছে রকমফের।
সহজে এবং তাড়াতাড়ি চুল বাঁধার উপায় হলো পনিটেল। ছোট কাঁকড়া ক্লিপ বা পাঞ্চ ক্লিপ দিয়ে কিছু চুল আটকে পুরো চুলটা পনিটেল করে রাখা যায়। আবার সব চুল টেনে উঁচু করে পনিটেল করতে পারেন।


রিবন টুইস্ট
পুরো চুল আঁচড়ে মাথার একপাশে নিয়ে আসতে হবে। যে পাশে চুল থাকবে না, সেই পাশে পিন দিয়ে ভালোভাবে আটকে দিতে হবে।
এবার একপাশে আনা চুলগুলো রাবার ব্যান্ড দিয়ে পনিটেল করে নিতে হবে। পনিটেল করা চুলগুলো কালো ফিতা দিয়ে পেঁচিয়ে নিচের দিকের কিছুটা গোছা ছেড়ে রাখতে হবে। গরমের সময় সালোয়ার-কামিজ কিংবা পশ্চিমা ধাঁচের পোশাকের সঙ্গে এই চুল বাঁধা খুব মানায়।


খোঁপা
যাঁদের চুল খুব বেশি লম্বা তাঁরা সহজেই করে ফেলতে পারেন খোঁপা।
অনেকেই কয়েক প্যাঁচ দিয়ে খোঁপা করে থাকেন। সুতি শাড়ির সঙ্গে এই খোঁপা খুব মানায়। খোঁপার পাশেই যদি গুঁজে দেওয়া যায় বেলি ফুলের মালা, তবে তো কথাই নেই। গরমে স্বস্তি আর ফ্যাশন হবে একই সঙ্গে। প্রয়োজন মনে করলে স্প্রে দিয়ে চুল আটকে নিন।

Wednesday, March 30, 2011

ওজন কমাতে সাইকেল চালনা

চিকিত্সা সাময়িকী ‘আর্কাইভস অব ইন্টারনাল মেডিসিনে’ প্রকাশিত এক গবেষণা মতে, সাইকেল চালানো মধ্যবয়সী নারীদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। লক্ষণীয় ব্যাপার হলো, সাইকেল চালানোতে সামান্য সময় বেশি দিলেই চাহিদামত ওজন কমানো যায়। গবেষণাটি শেষ করতে গবেষকরা ১১৬ ও ৬০৮ জন মহিলার তথ্যসংবলিত একটি গবেষণা পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং তাদের কাছ থেকে এ ব্যাপারে নিয়মিত তথ্য সংগ্রহ করেছেন। এতে অংশগ্রহণকারী মহিলারা ১৯৮৯ সাল থেকে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে এসেছেন, যার মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক আচরণ, চিকিত্সা, ইতিহাস, লাইফস্টাইল ইত্যাদি। বিশেষ এ গবেষণা থেকে গবেষকরা ২৫ থেকে ৪২ বছর বয়সী মহিলাদের ব্যায়াম এবং তাদের ওজনের পরিবর্তন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন।
শেষদিকে গবেষকরা দেখেছেন, ১৯৮৯ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে মহিলাদের গড়ে ২১ পাউন্ড ওজন বেড়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম তারাই, যারা দিনে ৩০ মিনিট করে শারীরিক পরিশ্রম বেশি করেছেন। এ ধরনের সুবিধা পেতে মহিলাদের হঠাত্ই কোনো শারীরিক পরিশ্রমে জড়িত হওয়ার প্রয়োজন নেই বরং যাদের খুব ধীরে ওজন বেড়েছে তারা নিয়মিত বিভিন্ন ব্যায়াম যেমন—দ্রুত দৌড়ানো, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো ইত্যাদি কাজগুলোই করেছেন।
ব্যায়ামের প্রভাব খতিয়ে দেখতে গিয়ে গবেষকরা বিশেষভাবে লক্ষ রেখেছেন সাইকেল চালানোর দিকে। গবেষকরা দেখেছেন, একজন মহিলা যত বেশি সময় ধরে সাইকেল চালিয়েছে তার ওজন তত ধীরে বেড়েছে।
তবে একটি ব্যাপার লক্ষণীয়, খুব কম মহিলাই সাইকেল চালানোতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেছেন বরং বেশিরভাগ মহিলা তাদের ব্যায়াম হিসেবে হাঁটাহাঁটিকেই পছন্দ করেন। এর কোনো বিশেষ কারণ এখনও অজানা। হতে পারে হাঁটাহাঁটির এখনও ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা অথবা সাইকেল চালানো নিয়ে তেমন কোনো গবেষণা না হওয়ার কারণে।
তবে একথাও ঠিক, বেশিরভাগ মহিলার সাইকেল চালানোর তেমন কোনো সুবিধাজনক জায়গা থাকে না। অথচ সাইকেল চালানো হাঁটার মতোই একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যায়াম। গবেষকরা আশাবাদী, অনেক মহিলাই ব্যায়ামের এ মাধ্যমটিকে বেছে নেবেন। আরও বিশেষভাবে বললে, তারা তাদের চলাচলের মাধ্যম হিসেবে সাইকেলকেই বেছে নেবেন, যাতে তাদের সময়ও বেঁচে যায়। তারা স্কুল কিংবা কাজের জায়গাগুলোয় যাতায়াতের জন্য সাইকেলকে বেছে নিতে পারেন। এতে লাভ দুটি, তাদের প্রধান লক্ষ্য গন্তব্যস্থানে যাওয়া যেমন সহজ হবে, তেমনি তাদের ব্যায়ামও হবে—যেটা তাদের জন্য অতি প্রয়োজনীয়।

গরমে ছিমছাম সারাদিন

সকালবেলা ছিলেন পরিপাটি। চোখে-মুখে প্রসাধনের হালকা ছোঁয়া। ব্যস, বেরিয়ে পড়লেন কাজের উদ্দেশ্যে। বেলা গড়াতে থাকল। দিন শেষে দেখলেন, চেহারার সেই পরিপাটি ভাবটি আর নেই। লিপস্টিক আর কাজলও হয়তো লেপটে গেছে। মনই খারাপ হয়ে যায়। নিজের ওপর বিরক্ত লাগে। তখন একটু সাজসজ্জা না করলে সারাদিনের ক্লান্তিটা ঢাকা পড়ে না। কীভাবে তা করবেন, সে বিষয়ে কিছু পরামর্শ দেয়া হলো।
খুব গরম না থাকলেও আবহাওয়া এখন গরম। ফলে মেকআপ করতে হবে সে অনুযায়ী। সকালে যেভাবে সেজে বেরিয়েছিলেন, সেভাবেই মেকআপ ঠিকঠাক করে নিতে হবে।
সকালে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন লোশন লাগিয়ে নিন। এরপর পাউডার ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে পারেন। এটি না করতে চাইলে শুধু ফেস পাউডার লাগিয়ে বের হতে পারেন। চোখে হালকা রংয়ের আইশ্যাডো ব্যবহার করুন। সঙ্গে কাজল আর আইলাইনার নিতে ভুলবেন না। তবে খুব গরম, বৃষ্টি বা বিশেষ কোনো অনুষ্ঠান না থাকলে পানিরোধী কাজল, মাশকারা ও আইলাইনার ব্যবহার না করাই ভালো। সারা দিনের ঘাম আর গরমে হয়তো মুখ তৈলাক্ত হয়ে যায়। তখন চেহারায় সকালের সেই স্নিগ্ধ ভাবটি থাকে না। সে সময় ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়ার দরকার নেই। এতে করে নিজেকে আবার তৈরি করতে বেশ সময় লাগে। সে কারণে ফেসিয়াল ওয়াইপস বা ওয়েট টিস্যু দিয়ে শুধু মুখটা মুছে নিন। চোখের অংশে হাত দেবেন না। কোনো ময়েশ্চারাইজার লোশন লাগিয়ে নিন। এরপর ব্যবহার করুন ফাউন্ডেশন। এর পরিবর্তে আপনি টিনটেন্ড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন, যা ফাউন্ডেশনের মতো কাজ করবে। যদি রাতের দিকে কোনো অনুষ্ঠানে যেতে হয়, তাহলে স্পঞ্জ সামান্য ভিজিয়ে ফাউন্ডেশন নিয়ে মুখে ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে মেকআপ একটু জমকালো হবে। এরপরও মুখ যদি তৈলাক্ত হয়ে যায়, তাহলে ব্লটিং পেপার দিয়ে হালকা চাপ দিয়ে তেল বা ঘাম উঠিয়ে নিন। আপনি চাইলে স্টিক ফাউন্ডেশনও ব্যবহার করতে পারেন। তবে তরল ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা উচিত নয়। সংবেদনশীল ত্বকে বা যাদের ব্রণ ওঠার প্রবণতা আছে, তাদের জন্য মেডিকেটেড কনসিলার উপযুক্ত। মেকআপ বেশি হয়ে গেলে টিস্যু পেপার দিয়ে হাল্কাভাবে মুছে নিতে পারেন। এরপর ব্রাশ দিয়ে লুজ পাউডার দিতে হবে। পাউডার ব্লাশ-অনই বেশি ব্যবহার করে সবাই। ক্রিম ব্লাশ-অনও ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে গাঢ় গোলাপি (ডাসকি পিঙ্ক) রংটাকে প্রাধান্য দিলে চেহারায় একটা উজ্জ্বলতা দেখা দেবে। এটা লাগাতে হবে গালের হাড় বা চিকবোনের ওপর থেকে নিচের দিকে।
দিনেরবেলা ম্যাট ধরনের হালকা রংয়ের আইশ্যাডো ব্যবহার করা উচিত। তবে রাতে বা সন্ধ্যার পার্টির জন্য গাঢ় শ্যাডোই ভালো হবে। কাজল বা আইলাইনারের ওপর দিয়ে আরেকবার এঁকে দিন। কাজল লেপটে গেলে আলতো করে মুছে নিয়ে আবার লাগিয়ে নিন। কাজল, আইলাইনার একসঙ্গে মিশিয়ে স্মোকিং লুক দিতে পারেন চোখে। গ্লিটার দেয়া আইলাইনার ব্যবহার করলে আর কিছু না লাগানোই ভালো।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, সকালে ঠিকই রাঙিয়ে ছিলেন ঠোঁটকে। কিন্তু দিন শেষে তা মিলিয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে আপনি লিপলাইনার দিয়ে ঠোঁট এঁকে নিতে পারেন। এরপর একই রংয়ের লিপস্টিক ব্যবহার করুন। এতে করে লিপস্টিক ছড়িয়ে পড়বে না। ঠোঁট শুষ্ক হলে একটু লিপজেল বা বাম আগে লাগিয়ে নিন। দিনেরবেলা ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার করুন। হালকা গোলাপি, ধূসর বাদামি, মভ রংয়ের লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন। তবে রাতেরবেলা গ্লসি লিপস্টিক ব্যবহার করা উচিত। ঘামে চুল তৈলাক্ত হয়ে গেলে ট্যালকম পাউডার সামান্য পরিমাণে চুলের গোড়ায় দিয়ে উল্টো করে চুলটাকে আঁচড়ে ফেলুন। এতে চুলে ঝরঝরে ভাব আসবে। এরপর আপনার পছন্দ ও অনুষ্ঠানের উপযোগী করে চুলগুলো বেঁধে ফেলুন। হালকা কোনো সুগন্ধি ব্যবহার করুন। হয়ে গেল সাজ। তবে মনে রাখতে হবে, কর্মজীবী মেয়েদের ব্যাগে প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রসাধনসামগ্রী থাকা উচিত। তাহলে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হবে না। সারাদিন থাকতে পারবেন ছিমছাম।



কুটুমবাড়িতে গ্রামের খাবারকুটুমবাড়ি তার শহরের কুটুমদের জন্য এনেছে নতুন একটি খাবারের প্যাকেজ। নাম গ্রামের খাবার। শুধু নামেই গ্রামের খাবার নয়, এ প্যাকেজে রয়েছে গ্রামের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী খাবার। আর এসব খাবার খেতেও হবে মাটির পাত্রে। এ প্যাকেজে থাকছে সাদা ভাতের সঙ্গে প্যাকেজ-১ : শনিবার চিংড়ি ভর্তা, আলু ভর্তা, বরবটি ভর্তা, ঢেঁড়স ভাজি, ডাল ও সবুজ সালাদ। প্যাকেজ-২ : রোববার টাকি ভর্তা, টমেটো ভর্তা, পেঁপে ভর্তা, করলা ভাজি, ডাল ও সবুজ সালাদ। প্যাকেজ-৩ : সোমবার শুঁটকি ভর্তা, কাঁচকলা ভর্তা, ডাল ভর্তা, শিম-আলু ভাজি, ডাল ও সবুজ সালাদ। প্যাকেজ-৪ : মঙ্গলবার চিংড়ি ভর্তা, ঢেঁড়স ভর্তা, ধনেপাতা, মিষ্টি কুমরা ভাজি, ডাল ও সবুজ সালাদ। প্যাকেজ-৫ : বুধবার টাকি ভর্তা, থানকুনি পাতা ভর্তা, মরিচ-পেঁয়াজ ভর্তা, চিচিঙ্গা ভাজি, ডাল ও সবুজ সালাদ। প্যাকেজ-৬ : বৃহস্পতিবার শুঁটকি ভর্তা, ডিম ভর্তা, কালোজিরা ভর্তা, বাঁধাকপি ভাজি, ডাল ও সবুজ সালাদ। প্যাকেজ-৭ : শুক্রবার টাকি ভর্তা, শিম ভর্তা, আলু ভর্তা, মুড়িঘণ্ট, ডাল ও সবুজ সালাদ। খাওয়া যাবে প্রতিদিন বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। প্যাকেজ মূল্য মাত্র ১০৯ টাকা। উল্লেখ্য, কুটুমবাড়ি মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের একটি প্রতিষ্ঠান। কুটুমবাড়িতে বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজে খাবারের পাশাপাশি চাহিদা অনুযায়ী সব খাবার খাওয়ার সুযোগ রয়েছে। ঠিকানা : কুটুমবাড়ি, ২/১২ ব্লক-এফ (লালমাটিয়া মহিলা কলেজের পাশে), লালমাটিয়া, ঢাকা-১২০৭। ফোন : ০১১৯৫-৩৮১৬৩০, ০১১৯৭-২৩৫৬৮৪।

গরমে আরামদায়ক পোশাক

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় উত্তরাঙ্গন বুটিক। সেই ধারাতেই এ গরমে উত্তরাঙ্গন বুটিক নিয়ে এসেছে গরমের বেশকিছু নতুন পোশাক। উত্তরাঙ্গন বুটিকের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক ও স্বত্বাধিকারী দেশের স্বনামধন্য ত্বকবিশেষজ্ঞ ডা. জাকিয়া মাহফুজা হাসান বলেন, ‘যেহেতু আমি একজন ত্বকবিশেষজ্ঞ তাই চাই এদেশের মানুষের জন্য ত্বকের সঙ্গে সহনীয় ফেব্রিক্স ও রং ব্যবহার করে পোশাক তৈরি করতে। আমাদের দেশের মানুষের ত্বকের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও ত্বকবান্ধব সুদৃশ্য পোশাক তৈরি-ই উত্তরাঙ্গন বুটিকের মুখ্য উদ্দেশ্য। এ লক্ষ্যেই আমরা নিয়ে এসেছি গরম উপযোগী ও ত্বকবান্ধব বেশকিছু এক্সক্লুসিভ শাড়ি।’ এছাড়াও পাওয়া যাচ্ছে ত্বক উপযোগী নতুন ডিজাইনের এক্সক্লুসিভ শাড়ি, বাহারি থ্রি-পিস, ফতুয়া এবং ছেলেদের জন্য ফতুয়া, শর্ট, পাঞ্জাবি, কর্তা ও আঙরাখা। উল্লেখ্য, উত্তরাঙ্গন বুটিকে রয়েছে নিজের মতো পোশাক তৈরির সুবিধা।
ঠিকানা : উত্তরাঙ্গন বুটিক—বাড়ি-১২, সোনারগাঁও রোড, সেক্টর-৯, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০। ফোন : ০২-৮৯২০৫৩৩, ০১৯২৬ ৫৯০০৫৩।

অনলি ওয়ান

এই গরমে অনলি ওয়ান শার্ট নিয়ে এসেছে গরমের এক্সক্লুসিভ শার্ট। এদেশের গরমের কথা মাথায় রেখে ভিন্নতা আনা হয়েছে ডিজাইন ও রংয়ের ব্যবহারের ক্ষেত্রে। উন্নতমানের কাপড়ে তৈরি করা হয়েছে হাফহাতা ও ফুলহাতা এক্সিকিউটিভ ও ক্যাজুয়াল শার্ট । অনলি ওয়ানের শার্ট পাওয়া যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন শার্টের শোরুমে। কারণ এ প্রতিষ্ঠান শুধু পাইকারি বিক্রয় করে থাকে। সারা দেশে কোথাও তাদের কোনো নিজস্ব শোরুম নেই। অনলি ওয়ান গার্মেন্টসের স্বত্বাধিকারী মো. মঈনুল ইসলাম সোহাগ বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব শোরুম না থাকলেও সারাদেশে বিভিন্ন বড় শোরুমে আমাদের শার্ট পাওয়া যায়। আগ্রহী ক্রেতারা সেখান থেকে সহজেই অনলি ওয়ানের শার্ট কিনতে পারবেন।’ উল্লেখ্য, সারাদেশের পাইকারদের যোগাযোগরে জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। ঠিকানা : ৩৯ মেহেরবান মার্কেট (৪র্থ তলা), উর্দু রোড, লালবাগ, ঢাকা ও ১৪৭ নগর প্লাজা (আন্ডার গ্রাউন্ড) ফুলবাড়িয়া, ঢাকা। ফোন : ০১৭৩৭৩৫৫০৬৫ ওয়েব সাইট .িড়হষুড়হবনফ.পড়স, ঐড়ঃষরহব-০১৬১ঙঘখণঙঘঊ

মুসলিম কালেকশন

আসছে গরমে স্বনামধন্য ফ্যাশন হাউস মুসলিম কালেকশন নিয়ে এসেছে বেশকিছু নতুন ডিজাইনের এক্সক্লুসিভ শার্ট। শার্টগুলোয় ব্যবহার করা হয়েছে সময়োপযোগী কাপড়। রং ও ডিজাইনের ক্ষেত্রে আনা হয়েছে গরমের উপযোগিতা। সম্পূর্ণ নিজস্ব ডিজাইনার দ্বারা ডিজাইনকৃত এসব শার্টে ব্যবহার করা হয়েছে স্ট্রাইপ, জ্যামিত্যিক কলার, বৃত্তপ্রিন্টসহ নানা ধরনের ডিজাইন। তারুণ্যর প্রিয় ব্র্যান্ড মুসলিম কালেকশনের শার্টগুলো পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করা হয়। বিস্তারিত জানতে যোগাযোগের ঠিকানা মুসলিম কালেকশন, ২৭ মাহবুব আলম শপিং কমপ্লেক্স (নিচতলা), পূর্ব আগানগর, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা। ফোন : ০১৭৩৭৭৩০৩১৩।

বালুচর

ফ্যাশন হাউস বালুচর বৈশাখ উপলক্ষে নিয়ে এসেছে বেশকিছু ঋতুভিত্তিক পোশাক। মোটিভ হিসেবে প্রকৃতি, নীল ও সবুজের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। পোশাক হিসেবে রয়েছে মেয়েদের টপস, ওড়না, সালোয়ার-কামিজ, লেডিস ফতুয়া ও শাড়ি। ছেলেদের জন্য রয়েছে শার্ট, টি-শার্ট, পলো টি-শার্ট, ফতুয়া, পাঞ্জাবি ও শর্ট-পাঞ্জাবি। প্রতিটি পোশাকের কাটিংয়ে আনা হয়েছে ভিন্নতা। পোশাকে রয়েছে দেশীয় ও ওয়েস্টার্ন লুক। খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করা হয়। শোরুম : ১. ৮১ আজিজ সুপার মার্েকট, ৩য় তলা। ২. গ্র্যান্ড প্লাজা, লেভেল-২, ২২৭, দোকান-২১৫, বড়মগবাজার, ওয়ারলেস গেট। মোবাইল : ০১৭১৬৫৫৬২৭১

কারখানা

ফ্যাশন হাউস কারখানা এবারের আয়োজনে নিয়ে এসেছে নান্দনিক পোশাক। কারখানা বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে নানা রকম পোশাক নিয়ে তার গ্রাহকের সামনে হাজির হয়ে থাকে। ফ্যাশনের ক্ষেত্রে কারখানা তারুণ্যের কথা মাথায় রেখে সুতি কটন ও গ্যাবাডিং কাপড়কে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। এসর পোশাকের ডিজাইন করে থাকে আল আমিন ও মাসুদ রানা।
তাদের ডিজাইনকৃত পোশাকের মধ্যে রয়েছে টি-শার্ট, পলো টি-শার্ট, শার্ট, হাফহাতা শার্ট, ফুলহাতা শার্ট প্রভৃতি। খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করা হয়। ৭৭ আজিজ সুপার মার্কেট, ২য় তলা। মোবাইল : ০১৭১১১৫৯৮৬৩
তানহা
তানহা বুটিক হাউসটি এরই মধ্যে তারুণ্যের পোশাক তৈরি করে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। বুটিকটি তার আকর্ষণীয় ও বৈচিত্র্যপূর্ণ পোশাক গ্রাহকদের হাতে পৌঁছে দিতে বসুন্ধরায় নতুন একটি শোরুম চালু করেছে ৩ মার্চ বুধবার থেকে। এ সময় তানহা বুটিক ও ফ্যাশন নিয়ে এসেছে গরমে আরামদায়ক ও সময়ের সঙ্গে মানানসই।
সুতি, সিল্ক, অ্যান্ডি, শিফন, জর্জেট কাপড়সহ পোশাক তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে কুমিল্লা, চান্দিনা ও টাঙ্গাইলের তাঁতের কাপড়। ছয়টি রংয়ের সুতা দিয়ে করা হয়েছে মেশিন এম্ব্রয়ডারি ও হাতের কাজ। কিছু সালোয়ার-কামিজে আছে জরি, চুমকি ও মিররের কাজ। রং হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে মেজেন্ডা, সাদা, কালো, নীল, সবুজ, হলুদ, অ্যাশ, গোলাপি ও বেগুনি ইত্যাদি। কাটিং ও ডিজাইনে আনা হয়েছে বৈচিত্র্য। দাম পড়বে ৭৫০ থেকে ৫ হাজার ৫৫০ টাকা।
এ সময়ের পোশাকগুলো পাওয়া যাবে তানহার তিনটি শোরুমে। ক. দোকান ১৫-১৬, লেভেল-৩, ইস্টার্ন মল্লিকা, এলিফ্যান্ট রোর্ড, ঢাকা। খ. বসুন্ধরা সিটি : দোকান ৫৫-৫৬, ব্লক-সি, লেভেল-৩। গ. সিলেট সিটি সেন্টার সোপ : ৩০২ (২য় ফ্লোর), জিন্দাবাজার, সিলেট।
ব্যাঙ
ফ্যাশন হাউস ব্যাঙ প্রতিটি উত্সবে রকমারি আয়োজন করে থাকে। ব্যাঙে রয়েছে তরুণদের পছন্দের সব রকমের পোশাক। এগুলোর মধ্যে রয়েছে শার্ট, টি-শার্ট, পলো টি-শার্ট, ফতুয়া, পাঞ্জাবি ও শর্টপাঞ্জাবি ইত্যাদি। ব্যাঙে এখন চলছে বিশেষ ছাড়। আপনার পছন্দের পোশাকটি সংগ্রহ করতে যোগাযোগ করুন : ঢাকা শোরুম, বসুন্ধরা সিটি, মেট্রো শপিংমল, এলিফ্যান্ট রোড, রাইফেল স্কয়ার, হাটখোলা (টিকাটুলি-২), আজিজ সুপার মার্কেট। সিলেট ব্রাঞ্চ : বারুদখানা পয়েন্ট, জিন্দাবাজার ও কুমারপাড়া।

দর্জি বাড়ি

গরমে দর্জি বাড়ি তার ফ্যাশনে এনেছে ভিন্নতা। ফ্যাশন হাউসটি তার পোশাকে তারুণ্যের পছন্দকে প্রাধান্য দিয়েছে। এখানে পাওয়া যাচ্ছে শার্ট, টি-শার্ট, পলো টি-শার্ট, ফতুয়া, পাঞ্জাবি ও শর্টপাঞ্জাবি ইত্যাদি। আপনার পছন্দের পোশাকটি সংগ্রহ করতে যোগাযোগ করুন : বসুন্ধরা সিটি, মিরপুর-১০ নম্বর, মৌচাক মোড়, উত্তরা।

জীনাত ফ্যাশনে ছাড়

গরম পুরোপুরি না এলেও গরম উপলক্ষে জীনাত ফ্যাশন তার ক্রেতাদের জন্য দিচ্ছে এক বিশেষ ছাড়।
বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পোশাক কিনলেই তা পাওয়া যাবে ১০ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত। চলবে আগামী ১৫ থেকে ৩০ মার্চ। এর মধ্যে রয়েছে মেয়েদের থ্রি-পিস, সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া, লেহেঙ্গা ও শাড়িসহ বিভিন্ন পোশাক। ছেলেদের জন্য পাঞ্জাবি ও ফতুয়া। আকর্ষণীয় ডিজাইনের এ পোশাকগুলোয় রয়েছে এম্ব্রয়ডারি, কারচুপি ও হাতের কাজ। কেনাকাটায় ছাড় ছাড়াও রয়েছে পোশাক অল্টার করার সুযোগ। এছাড়াও জীনাতে রয়েছে নিজের মনের মতো পোশাক তৈরির সুবিধা।
ঠিকানা : আভা-নীড়, বাড়ি-৫৪ (অ্যাপার্টমেন্ট ১/বি), রোড-১১, ব্লক এফ, বনানি, ঢাকা-১২১৩। ফোন : ৯৮৬৩০৪৩, ০১৯৭১৫৪৮৬৯১।